Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

শামিমকে খুনে নতুন মোড়, ধৃত দম্পতি

পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন মোজাম্মেল শেখ, তাঁর স্ত্রী এবং মোজাম্মেলের সঙ্গী আশরফ শেখ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হলে মোজাম্মেল ও আশরফের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশে দেন বিচারক।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১৮
Share: Save:

সোঁতশাল গ্রামের যুবক শামিম শেখ হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়! শামিম তাঁর মামাতো ভাইয়ের খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। সে কারণেই শামিমকে খুন করা হয়েছে বলে বুধবার দাবি করেছিল তাঁর পরিবার। পুলিশের অবশ্য দাবি, সম্পর্কজনিত টানাপড়েনের জেরে খুন হতে হয়েছে কুড়ি বছরের ওই যুবককে। তাঁকে খুনের অভিযোগে এক দম্পতি-সহ তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন মোজাম্মেল শেখ, তাঁর স্ত্রী এবং মোজাম্মেলের সঙ্গী আশরফ শেখ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হলে মোজাম্মেল ও আশরফের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশে দেন বিচারক। মোজাম্মেলের স্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা শামিমকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

বুধবার মহম্মদবাজারের লোহাবাজারের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় শামিমের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তিন বছর আগে খুন করা হয়েছিল শামিমের মামাতো ভাই স্কুল ছাত্র নয়ন শেখকে। শামিম ছিলেন সেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। নয়ন খুনের ঘটনায় অভিযুক্তেরাই শামিমকে হত্যা করেছে বলে দাবি জানায় তাঁর পরিবার। এই মর্মে বুধবার মহম্মদবাজার থানায় আট জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। পরিবারের দাবি মেনে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত চালানো হয়। পুলিশ কুকুরই ঝোপের অদূরে মোজাম্মেলদের বাড়ি চিহ্নিত করে বলে পুলিশের দাবি। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে মোজাম্মেল ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁদের জেরা করে আশরফকে ধরে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, জেরায় মোজাম্মেল জানিয়েছেন, স্ত্রী ও শামিমকে ঘিরে তাঁর মনে সন্দেহ ছিল। মোজাম্মেল না থাকলে শামিম তাঁদের বাড়িতে আসতেন। বুধবারও তিনি না থাকাকাকালীন শামিম বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু সেদিন কাজ থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে শামিমকে দেখে মাথা গরম হয়ে যায় মোজাম্মেলের। পুলিশের দাবি, রাগের বশে শামিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন মোজাম্মেল। রক্তাক্ত শামিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। মোজাম্মেল এর পরে আশরফকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে অদূরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেন। শামিমের মোটরবাইকটিও দূরে রাস্তার ধারে রেখে আসা হয়। পুলিশের এই দাবি যদিও মানতে নারাজ শামিমের পরিবার। তাঁর মামা আসাদুল্লাহ শেখ বলেন, ‘‘এটা চক্রান্ত। ঘটনাকে অন্য ভাবে সাজানো হচ্ছে। মূল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ এ বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। উত্তর দেননি টেক্সট মেসেজেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Crime Murder Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE