রামপুরহাটে চোর সন্দেহে যুবককে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মার। —নিজস্ব চিত্র
জেলার দুই প্রান্তে একই ফের দু’টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটল।
সোমবার দুপুরে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাটে খোদ আদালত লাগোয়া এলাকায়। ওই ঘটনায় মোটরবাইক চোর সন্দেহে এক যুবককে ল্যাম্পোস্টে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে। গণপিটুনিতে জড়িতদের গ্রেফতার না করে পুলিশ উল্টে ওই যুবককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
অন্য দিকে, ছেলেধরা সন্দেহে নানুরের গোন্নাসেরান্দী এবং পুন্দরা গ্রামে দুই যুবককে গণপিটুনি দেয় জন।া মারধরের পরে যুবকদের পুলিশ উদ্ধার করে। জেরায় পুলিশ জেনেছে, তাঁদের একজনের নাম বম্বেয়াল দেব। বাড়ি জামুরিয়ার পারুলডাঙা। অন্য জন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হৃষীকেশ কুমার। পুলিশ জানায়, ওই দুই যুবকই যাযাবর সম্প্রদায়ের। ভিক্ষা-সহ নানা জিনিস বিক্রির জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরছিল। ছেলেধরার গুজবে এখন প্রতিটি গ্রামে আতঙ্ক রয়েছে। তারই বশে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে আনে।
একই দিনে ছেলেধরা সন্দেহে এক মাঝবয়সী ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। সোমবার দুপুরে রামপুরহাট থানার কাষ্টগড়া গ্রামের ঘটনা। কাষ্টগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিয়ামত সেখ বলেন, ‘‘এক ব্যক্তিকে স্থানীয় কিছু মানুষ ছেলেধরা সন্দেহে পঞ্চায়েতে আটক করে রেখেছিল। পরে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জানতে পারি নলহাটি থানা এলাকায় বাড়ি। পেশায় ভাঙা লোহা টিনের কারবার করেন। ওই ব্যক্তির কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে পঞ্চায়েতে বহু মানুষ এসে পড়লে আমি পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানাই।’’ পুলিশ ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসার জন্য বলে। পঞ্চায়েত থেকে গাড়ি করে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁকে পুলিশ আটক করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy