সার্কিট হাউসে। নিজস্ব চিত্র
আগামী বছরের গোড়ায় পুরুলিয়ায় মেডিক্যাল কলেজ চালু হবে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়।
জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ‘এক্সচেঞ্জ’ নামের বৈঠকটি হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব রাজীব সিংহ, অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, ন্যাশন্যাল হেলথ মিশনের অধিকর্তা মহম্মদ গোলাম আলি আনসারি প্রমুখ। যোগ দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
বৈঠকের পরে অতিরিক্ত প্রধান সচিব রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যা জানানোর জেলাশাসকই জানাবেন।’’ পরে জেলাশাসক জানান, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়ে যাবে। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালও ওই মেডিক্যাল কলেজের আওতায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
মানবাজার ও ঝালদা পৃথক মহকুমা হয়েছে। দুই মহকুমা সদরে থাকা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে মহকুমা হাসপাতাল করা হবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জেলার অন্য ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচরা যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। সেগুলির সমাধানও ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে আরও কযেকটি বিষয় উঠে আসে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তার মধ্যে রয়েছে, রঘুনাথপুরে কোনও পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র না থাকা। রঘুনাথপুর মহকুমার পাড়া এবং চেলিয়ামায় কিছু মানুষজনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব করানোর ব্যাপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সেখানে স্থানীয় ধাত্রীরাই অনেক সময়ে প্রসব করান। তাঁদের আশাকর্মী করা যায় কি না, সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কাশীপুর ও বলরামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy