Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

দ্রুত কার্ড পেয়ে কাজে পরিযায়ীরা

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিটি সংসদেই ১০০ দিনের কাজ হবে। পঞ্চায়েত থেকে কোথাও নালা সংস্কার, কোথাও খাস পুকুর কাটার কাজ চালু করা হয়েছে সোমবার থেকে।

ব্যস্ত: চলছে একশো দিনের কাজ। নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ত: চলছে একশো দিনের কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০৫:২১
Share: Save:

তাঁরা ভিন্ রাজ্যে কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু, লকডাউন তাঁদের রুজি কেড়েছে। নিজের জেলায় ফিরে তাঁরা চরম সমস্যায়। এ ছাড়াও সমস্যায় এলাকার বহু গরিব মানুষ। এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সাঁইথিয়া ব্লকের মাঠপলশা পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করেছে পরিযায়ী শ্রমিক এবং স্থানীয় গরিব মানুষজনকে।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতিটি সংসদেই ১০০ দিনের কাজ হবে। পঞ্চায়েত থেকে কোথাও নালা সংস্কার, কোথাও খাস পুকুর কাটার কাজ চালু করা হয়েছে সোমবার থেকে। যেখানে পরিযায়ী শ্রমিক-সহ প্রায় এক হাজার পুরুষ-মহিলা কাজ করছেন। তেমনই দুই পরিযায়ী শ্রমিক রাহুল মণ্ডল, অনিমেষ সাহা বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে আসার পরে কোনও কাজ হাতে ছিল না। ওখানে কাজ করে যেটুকু উপার্জন হয়েছিল, তার বেশির ভাগটাই লকডাউন শুরু হওয়া থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত খরচ হয়ে গিয়েছে। এতদিন ধরে বাড়িতে বসে থাকায় খাবারেও টান পড়ছে।’’ এই অবস্থায় তাঁরা পঞ্চায়েতে জবকার্ড বানিয়ে কাজ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁদের নতুন জবকার্ড বানিয়ে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হয়েছে। রাহুলদের কথায়, ‘‘এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। যদি মাসখানেকও কাজ পাওয়া যায়, তা হলে সংসার টুকু চলবে। তার পরে লকডাউন খুলে গেলে আমরা আবার নিজের মতো কাজের ব্যবস্থা করে নিতে পারব।’’

মাঠপলশা পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘‘লকডাউনের সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। সকলেই আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি কাজ চালু করার জন্য। আমরাও সেই মত জেলাকে জানিয়েছিলাম। তারপর জেলার নির্দেশেই এই পঞ্চায়েতের ১৬টি সংসদেই কাজ চালু করা হয়েছে সোমবার থেকে। আগামী ১৬ দিন চলবে এই কাজ।’’ তিনি জানান, এলাকার এক হাজার মানুষ এই মুহূর্তে কাজ করছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের আবেদনপত্র পাওয়ার পরেই দ্রুত নতুন জবকার্ড বানিয়ে কাজ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে আরও এক হাজার মানুষকে কাজ দেওয়া যাবে বলে তাঁর আশা। প্রধানের কথায়, ‘‘ টানা এক মাস কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাম্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তাই করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE