Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দুর্ঘটনায় গাড়ি, জখম বিধায়ক

স্বপনবাবুর ছেলে তথা জেলা পরিষদ সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া জানিয়েছেন, এদিন সকালে তাঁর বাবা নিজেই গাড়ি চালিয়ে জলাধারের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

দুর্ঘটনার পরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনার পরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাশীপুর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫০
Share: Save:

গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হলেন কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া। শুক্রবার সকালে রঞ্জনডি জলাধারের সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর গাড়ি। তবে বিধায়কের আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছে তাঁর পরিবার। স্বপনবাবুর পরিবার জানিয়েছে, তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

স্বপনবাবুর ছেলে তথা জেলা পরিষদ সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া জানিয়েছেন, এদিন সকালে তাঁর বাবা নিজেই গাড়ি চালিয়ে জলাধারের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। চালক না আসায় তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রঞ্জনডির মুখেই তাঁর গাড়িটি বাঁক নেওয়ার সময় উল্টে যায়। যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে রাস্তাটি মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছিল। বাঁক নেওয়ার সময় গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আটক হয়ে পড়েন স্বপনবাবু। গাড়িতে তাঁর দেহরক্ষীও ছিলেন না। কিছুক্ষণের চেষ্টায় তিনি নিজেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। স্বপনবাবুর গলায় সামান্য আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।

সৌমেন জানান, এলাকায় কাজ দেখতে যাওয়ার সময়ে তাঁর বাবা নিজেই গাড়ি চালান। স্বপনবাবুর গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও রয়েছে। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন। সৌমেন বলেন, ‘‘বাবার আঘাত তেমন কিছু নয়। তবে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’ স্বপনবাবুর গাড়ির সামনের অংশটির ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল জেলা নেতাদের অনেকেই ফোন করেন বিধায়ককে। শীতের সকালে রাস্তা ভিজে ছিল। ‘রোলার’ না চলায় মাটি ঠিক মতো বসেনি। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swapan Beltharia Kashipur Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE