প্রতীকী চিত্র
পৌষমেলা শেষের পরেও বেচাকেনা আটকাতে এ বছর অভিযান চালায় বিশ্বভারতী। তখনই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তখনই বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, তাঁদের ভাবমূর্তি কলুষিত করতে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন ওই অভিযোগকারিণী। তাঁর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারক পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগকারিণীর আইনজীবীর দাবি।
পৌষমেলা শেষের পরেও মেলায় বেচাকেনা ঠেকাতে এ বছর মাঠে নামেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ আধিকারিকেরা। সেই অভিযান চালানোর সময় মেলায় বিক্রির জিনিসপত্র লুটপাটের করার অভিযোগ উঠে বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। তখনই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন ওই মহিলা। এই দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ শে জানুয়ারি শান্তিনিকেতন থানায় দুটি পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় এক ব্যবসায়ী ও ওই মহিলার তরফে।
কিছুদিন পরই ওই অভিযোগকারিণী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, জাতীয় মহিলা কমিশন-সহ একাধিক জায়গায় লিখিত আবেদন জানান। নির্যাতিতার অভিযোগ, এতেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়নি। এ দিন ওই নির্যাতিতা ও ওই ব্যবসায়ী বোলপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ও পৃথকভাবে বোলপুর আদালতে দুটি মামলা রুজু করা হয়। এবিষয়ে অভিযোগকারীর আইনজীবী শাম্ব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ দিন আদালতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য-সহ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা রুজু করা হয়। বিচারক দু’টি ঘটনাতেই পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy