প্রতীকী ছবি।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা দিতে ব্যাঙ্ক স্বল্প সুদে ঋণ দেয়। কিন্তু যে স্বনির্ভর দলকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তাদের কর্মকাণ্ড কিংবা দলের সদস্যদের সম্পর্কে সামান্য তথ্যই থাকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। স্বনির্ভর দল সম্পর্কে জানতে নির্ভর করতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআরডিসি-র উপরে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে ‘ই-শক্তি’ নামে একটি পোর্টাল। ওই পোর্টালে স্বনির্ভর দল ও তাদের সদস্যদের যাবতীয় তথ্য এ বার মিলবে। এর ফলে ঋণ দান থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া বা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যাঙ্কের পক্ষে সহজ হবে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা নাবার্ডের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি স্বনির্ভর দলের এমন তথ্য সংগ্রহের কাজ বা ‘ই-শক্তি’র সূচনা হল সোমবার থেকে। এ দিন দুপুরে সিউড়িতে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সভাকক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জেলায় ‘ই-শক্তি’র সূচনা করেন নাবার্ডের ডেপুটি ডিভিশনাল ম্যানেজার সুমর্ত্য ঘোষ। জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের বাংলা সংস্করণ ‘আনন্দধারা’র অন্তর্গত বীরভূম জেলায় প্রায় ৪৭ হাজার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এ ছাড়া পুরুষ ও মহিলা মিলিত ভাবে এবং শুধু পুরুষদের গোষ্ঠীর সংখ্যা ধরলে মোট স্বনির্ভর দলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। জেলার প্রতিটি দলের পরিস্থিতি কী, তাদের খাতাপত্র, রেজোলিউশন, ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য এবং সদস্যদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান কেমন—এ সব নানা খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহের কাজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করবেন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরেরা। তেমন ৪০ জনকে এ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডিডিএম বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে দেশ জুড়ে ১০০টি জেলায় এই কাজ চলছে। পরবর্তী ধাপে আরও ১৫০টি জেলাকে মনোনীত করা হয়েছে। এ রাজ্যে ১০টি জেলার মধ্যে বীরভূম রয়েছে। গোটা জেলায় সমস্ত দলের তথ্য সংগ্রহ হবে ধাপে ধাপে।’’ নাবার্ডের আধিকারিকদের ধারণা, গোটা প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই বছর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিআরডিসি-র ডেপুটি ডিরেক্টর (ক্রেডিট) সুতনুকা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কাজটা কঠিন। তবে উদ্দেশ্য খুবই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy