আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে সন্তান কোলে মা-বাবা। ছবি: সুজিত মাহাতো
চলন্ত ট্রেনের কামরায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীর জন্য চেয়েও সহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক। বৃহস্পতিবার স্ত্রী এবং সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে পুরুলিয়া থেকে রওনা হয়েছেন তিনি। যাওয়ার সময়ে আরপিএফ জওয়ানদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দম্পতি।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লি-পুরী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস পুরুলিয়া স্টেশনে ঢোকার আগে কামরাতেই প্রসব হয় গীতাদেবী নামে এক বধূর। তাঁর স্বামী উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ জেলার জুনেদপুরের বাসিন্দা রামেশ্বরের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে সহযাত্রীদের কাছে চেয়েও সাহায্য পাননি।
ট্রেন পুরুলিয়া স্টেশনে ঢুকতেই তিনি ছুটে যান প্ল্যাটফর্মে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। তাঁরাই গীতাদেবী ও সদ্যোজাতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসেই ওঠেন ওই দম্পতি। গন্তব্য—ওড়িশার ভদ্রক।
রামেশ্বর জানান, তাঁর জীবিকা চাষ। সঙ্গে তেমন টাকাকড়িও নেই। রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরাই তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। রামেশ্বর বলেন, ‘‘রেলের নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের খুবই সাহায্য করেছে। তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’
রওনা দেওয়ার আগে আরপিএফের ওসি সঞ্জয় হাজরার অফিসে সদ্যোজাতকে নিয়ে বসেছিলেন গীতাদেবী। সন্তানের নাম কী দিলেন? আরপিএফের এক মহিলা কর্মী জিজ্ঞাসা করায় একরাশ হাসি খেলে যায় মায়ের মুখে। তাঁকেই একটা নাম বেছে দিতে অনুরোধ করেন।
পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসে জন্ম হয়েছে যখন নামও হোক পুরুষোত্তম— প্রস্তাব আসে। সানন্দে মেনে নেন মা-বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy