বিজেপির মিছিল। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
দিন চারেক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে হুড়ায় তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছিল। শুক্রবার নয়া কৃষি আইনের সমর্থনে সেই হুড়াতেই মিছিল করল বিজেপি। ভিড়ের বহরে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার ‘লড়াইয়ে’ স্বাস্থ্য-বিধি মুছে গেল বলে অভিযোগ উঠল।
এ দিন বিজেপির মিছিলে ভালই ভিড় হয়েছিল। ঠাসাঠাসি ভিড়ে দূরত্ব বিধি ছিল না, অনেকে মাস্ক পরেননি বলেও অভিযোগ। মিছিলের পরে, নিমতলা মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার জেরে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। তৃণমূলের হুড়া ব্লকের সভাপতি সুভাষচন্দ্র মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘ ক্ষণ ধরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে মানুষকে সমস্যায় ফেলল বিজেপি। সর্বনাশা কৃষি আইন যে কেমন ক্ষতিকর তা চাষিরা জানেন। মিছিল করে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। কিন্তু জেলায় বর্তমানে যা কোভিড-পরিস্থিতি, সেখানে বিজেপির কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় আরও ঘোরালো না হয়ে ওঠে।’’
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সকে আমাদের কর্মীরা পথ করে দিয়েছেন। এ দিনের মিছিলে যে এত ভিড় হবে, সে আন্দাজ আমাদের ছিল না। অনেকেই মাস্ক ও গামছায় মুখ ঢেকেছিলেন।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘তৃণমূল আগে রাস্তা না আটকে কর্মসূচি করে দেখাক। আমরাও পথ ছেড়েই কর্মসূচি করব।’’
সম্প্রতি বিজেপির জেলা কার্যকারিণীতে এসে বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে দলকে মাঠে নামার সঙ্কেত দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এ দিনের মিছিলে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে নেতৃত্বের দাবি। মিছিলে ছিলেন দলের দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ জেলা নেতৃত্ব। লকেট বলেন, ‘‘মিছিলের জনজোয়ার প্রমাণ করছে এখানকার মানুষ রাজ্যে বদলের জন্য প্রস্তুত।’’
তাঁর দাবি, কৃষকদের সঙ্গে বিজেপির কর্মীরা আছেন, প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। এই ভিড় কৃষি আইনের সমর্থনের প্রমাণ। জ্যোতির্ময়ের মন্তব্য, ‘‘কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যদি তৃণমূল প্রতিবাদই করে, তা হলে সংসদে আলোচনার সময়ে তাদের সাংসদেরা কোথায় ছিলেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy