রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভা। নিজস্ব চিত্র
যিনি অন্যদের জেলে ভরে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন, কিছুদিন আগে লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল যদি তাঁকেও জেলে যেতে হয় যাবেন। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি বরদাস্ত না করার কথা বলে তিনি পরামর্শ দিলেন, ‘‘পার্টির ছেলে যদি স্কুলে গিয়ে ঝামেলা করে থানায় একটা অভিযোগ করে তারপর আমাকে ফোন করবেন।’’
রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বীরভূম জেলা শাখার কর্মিসভায় এমনটাই শোনা গেল দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মুখ থেকে। শিক্ষাঙ্গনের দায়িত্ব শুধুমাত্র শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির। সেখানে কোনও বহিরাগতের জায়গা নেই বলেই এ দিন তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল শিক্ষকদের উদ্দেশে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপির বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এ হল রাজনীতির নতুন চমক।’’ শিক্ষকদের ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে এ দিনের কর্মিসভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘আপনারা যা বলবেন তাই করব, যা চাইবেন তাই পাবেন। যে স্কুল যা চেয়েছে তাই পেয়েছে। বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দেড় কোটি টাকা, বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ৫০ লক্ষ টাকা করে
দেওয়া হবে।’’
অনুব্রত আরও বলেন, ‘‘বড় স্কুলে সাবমার্শাল পাম্প লাগলে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। শুধু একটা চিঠি পাঠিয়ে দিলেই হবে। সোলার সাবমার্শাল করে দেব।’’
সমিতির বীরভূম জেলা শাখার সভাপতি প্রলয় নায়েকের দাবি, ‘‘বিরোধীরা যাই বলুন এই দল আসার পর স্কুলের উন্নতি হয়েছে। প্রত্যেক পড়ুয়া সহায়তা পেয়েছে। জেলা থেকে প্রতি বছর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy