Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আকর্ষণের কেন্দ্রে শিশুদের মুক্তাঙ্গন

গত বছর থেকে পৌষমেলায় আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে শিশুবান্ধব কর্নার। জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় এবং পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ, নারী ও শিশুকল্যাণ এবং রাজ্য শিশুসুরক্ষা সমিতির সহযোগিতায় ২০১৬ সালের পৌষমেলা থেকে এই কর্নারটি হয়ে আসছে।

উদ্বোধন: শিশুবান্ধব মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী শশী পাঁজা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

উদ্বোধন: শিশুবান্ধব মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী শশী পাঁজা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১১
Share: Save:

গত বছর থেকে পৌষমেলায় আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে শিশুবান্ধব কর্নার। জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় এবং পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ, নারী ও শিশুকল্যাণ এবং রাজ্য শিশুসুরক্ষা সমিতির সহযোগিতায় ২০১৬ সালের পৌষমেলা থেকে এই কর্নারটি হয়ে আসছে। এ বারের পৌষমেলায় শিশুবান্ধব কর্নারের উদ্বোধন করেন রাজ্যের নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এ ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরি, বোলপুরের মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রের সভাপতি সুশীলকুমার চৌধুরী।

পৌষমেলার এই শিশুবান্ধব কর্নারের বিশেষত্ব হল, এখানে শিশুর অধিকার ও শিশুর সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য দেওয়া হয়। শিশুদের খেলা এবং বিনোদনের সুযোগ থাকে। গান, নাচ, কবিতা, অঙ্কন প্রভৃতি আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের উৎসাহ প্রদানও করা হয়। শিশুদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল, শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকে। এই কর্নারে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানও করানো যায় সুরক্ষিত ভাবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও বয়স্ক মানুষদের জন্য থাকে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। এ ছাড়াও শিশুদের খেলার সামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক তথ্য প্রদান করা হয়।

শনিবার রাজ্যের নারী, শিশুকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা শিশুবান্ধব কর্নারের উদ্বোধন করার পরে বলেন, ‘‘নিজের বাড়ির বাচ্চাকে আমরা যেমন ভালবাসি। ঠিক তেমনই অন্য বাচ্চাদের ভালবাসতে হবে। তা হলেই আর কোনও ভেদাভেদ আসবে না। শিশুশ্রমও বন্ধ হবে। ওরা কেবল পড়াশোনা করুক, নাচ করুক, গান করুক। এটাই ওদের মানায়। হয়তো আর্থিক কারণে কিছু পরিবার বাধ্য হয়ে তাদের বাচ্চাদের দিয়ে কাজ করায়। এটা নিয়েও ভাবতে হবে। নারীদের স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। তা হলেই এই সমস্যার অনেক সমাধান হবে।’’ এ দিন আঠারো বছরের নীচের মেয়েদের ব্যাডমিন্টন, সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য স্বনির্ভর করা।

পৌষমেলা থেকে ফিরতি পথে শশী পাঁজা হঠাৎই ইলামবাজারের নীলডাঙা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানকার বাচ্চাদের পড়াশোনা, খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Poush Mela 2017 Shantiniketan Children
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE