Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিয়োগ চেয়ে ধর্নায় ৩০ জন জমি-মালিক

কাজের দাবিতে ধর্নায় বসলেন জমির মালিকেরা।

পড়েছে পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।

পড়েছে পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিতুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৭
Share: Save:

কাজের দাবিতে ধর্নায় বসলেন জমির মালিকেরা।

প্রশাসনের উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে তিরিশ জন জমির মালিককে কাজে নিয়োগ করবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ পাবেন পনেরো জন। বাকিরা মার্চ মাসের মধ্যে। সময় পেরিয়ে গেলেও কেউ কাজ পাননি— এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকাল থেকে নিতুড়িয়া ব্লকের বেনিপুর গ্রামের অদূরে স্পঞ্জ আয়রন কারখানার সামনে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেছেন জমি-মালিকেরা। শনিবার দুপুরে নিতুড়িয়া থানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ও জমি মালিকদের নিয়ে একপ্রস্ত বৈঠক হয়। সমস্যা মেটেনি। পরে গ্রামে ফিরে ফের ধর্নায় বসেন জমির মালিকেরা।

বেনিপুর গ্রামের অদূরে ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল ওই কারখানাটি। প্রথমে মাপে ছোট ছিল। পরে কলেবরে বেড়েছে। ২০১২ সালে অন্য দু’জনকে কারখানা বিক্রি করে দেন পুরনো মালিকপক্ষ। সমস্যার জট পেকে ওঠে তার পরে। জমির মালিকদের অভিযোগ, তাঁদের কাজ দেওয়ার দাবি মানতে চাইছেন না নতুন মালিকপক্ষ।

বেনিপুর গ্রামেরই বেশ কয়েক জনের থেকে প্রায় ষাট একর জমি কিনে কারখানা তৈরি হয়েছিল। আন্দোলন শুরু করা জমি-মালিকদের একাংশের দাবি, জমি কেনার সময়েই মালিকপক্ষ মৌখিক ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাঁদের কারখানায় কাজ দেওয়া হবে। জমি-মালিকদের মধ্যে আস্তিক মণ্ডল, শিবদাস ভাণ্ডারীরা বলেন, ‘‘কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারি দামের থেকে অনেক কম টাকায় আমাদের জমি কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন কথার খেলাপ করা হচ্ছে।’’

কারখানায় কাজ দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই জমি-মালিকেরা। স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে তাঁদের দাবিদাওয়া জানিয়েছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর নিজের দফতরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও জমি-মালিকদের আলোচনায় ডাকেন বিডিও। ছিলেন বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শান্তিভূষণপ্রসাদ যাদব। বিডিও (নিতুড়িয়া) অজয় সামন্তের দাবি, ওই বৈঠকে ঠিক হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে পনেরো জন এবং মার্চের মধ্যে অন্য পনেরো জনকে কাজে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘বৈঠকে রাজি হলেও জমি মালিকদের কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজে নেননি বলে অভিযোগ এসেছে। সমস্যা মেটাতে ৮ জানুয়ারি ফের সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

অন্য দিকে, জমি-মালিকেরা দাবি করেছেন, কাজ না দেওয়া হলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের অভিযোগ, প্রথমে ছোট কারখানা বলে কাজ দেওয়া যাচ্ছে না বলা হয়েছিল। এখন কারখানা বড় হলেও কথা রাখা হচ্ছে না। ভিন্ রাজ্য ও ভিন্ জেলা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মালিকপক্ষের এক জনকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE