পথ নিরাপত্তার সঙ্গে সন্দেহভাজন লোকজন দেখলে পুলিশকে খবর দিতে প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
আত্মীয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য বৃহস্পতিবারের হাটে শালপাতা কিনতে গিয়েছিলেন এক যুবক। পঞ্চায়েত অফিসের কাছে রাস্তার ধারে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে রেখে কেনাকাটা করতে ঢোকেন হাটে। ফিরে দেখেন তাঁর মোটরবাইক বেমালুম হাওয়া। এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজ নিয়েও বাইকের হদিস পাননি তিনি। বৃহস্পতিবার কাশীপুরের ঘটনা।
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এক সপ্তাহ আগে এই এলাকা থেকেই একই ভাবে চুরি যায় আরও একটি মোটরবাইক। পথচারী, দোকানদারদের নজর এড়িয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হাটতলা মোড়ের মতো জনবহুল এলাকা থেকে কে বা কারা মোটরবাইক তুলে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। দুষ্কৃতীদের খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগে পুলিশও।
ঘটনা হল, যে এলাকা থেকে পরপর মোটরবাইক চুরি যাচ্ছে, সেখান থেকে কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। কাছেই গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস, সমবায় ব্যাঙ্ক, বাসস্ট্যান্ড-সহ বাজার। থানাও খুব বেশি দূরে নয়। রাস্তায় পুলিশের নজরদারিও থাকে। তবুও কী ভাবে চোরাই চক্রের পাণ্ডারা সকলের চোখে ধুলো দিয়ে এ ভাবে মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দিচ্ছে, এই প্রশ্নে ধন্দে পড়েছে পুলিশও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে এই থানা এলাকার একটি গ্রামে বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মোটরবাইক চুরি যায়। সেটি ঘটেছিল রাতের অন্ধকারে। তার আগে খোদ তৃণমূল বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার বাড়ির সামনে একটি কালীমন্দিরের দরজা ভেঙেও পুজোর সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে।
স্বপনবাবুর ছেলে তথা জেলা পরিষদ সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘মন্দিরে চুরির পর এলাকায় একাধিক মোটরবাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বোঝাই যাচ্ছে কোনও চোরাই চক্র এই ঘটনাগুলির পিছনে রয়েছে। রাতে বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়াররা পাহারায় থাকেন। দিনেও পাহারা থাকে। অপরিচিত সন্দেহভাজন লোকজনের উপরে তাঁদের নজরদারি থাকা উচিত।’’
পুলিশের দাবি, রাস্তায় লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ পরীক্ষা করে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি নজরে এলেও সেই ছবি থেকে মুখ পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও কোনও মোটরবাইকের হদিস শুক্রবার পর্যন্ত মেলেনি।
শেষমেশ পুলিশ মোটরবাইক চালকদের সতর্ক করতে মাইকে এলাকায় প্রচার শুরু করেছে। ঘোষণা করা হচ্ছে, নিজের মোটরবাইক রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখলে, নজর রাখুন। বাইকের আশপাশে সন্দেহভাজন কোনও লোকজন দেখলে পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের খবর দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy