Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ি তল্লাশির পরেই ফাঁড়ির দাবি চাষমোড়ে

পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার গোলবেড়া গ্রামের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে একটি বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশ তল্লাশি চালানোর পরে চাষমোড়ে ফের পুলিশ ফাঁড়ি ফেরানোর দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ চাষমোড়ের অদূরে পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের এই বাড়িটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

জাতীয় সড়কের ধারে বন্ধ হয়ে থাকা সেই ফাঁড়ি। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।

জাতীয় সড়কের ধারে বন্ধ হয়ে থাকা সেই ফাঁড়ি। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০১:২৩
Share: Save:

পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার গোলবেড়া গ্রামের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে একটি বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশ তল্লাশি চালানোর পরে চাষমোড়ে ফের পুলিশ ফাঁড়ি ফেরানোর দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ চাষমোড়ের অদূরে পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের এই বাড়িটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, রঘুনাথপুরে অস্ত্র কারখানা চজালানোর চাঁই ইসরার আহমেদকে জেরা করে এই বাড়িটির সন্ধান মেলে। নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের ভিত্তিতেও ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বোকারোর মকদমপুরের কয়েকজন ব্যক্তি। কিন্তু, অস্ত্র কারখানার হদিস মেলার পরেই ভাড়াটিয়ারা ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বাড়িটির ভিতরে সত্যিই বল-বেয়ারিংয়ের কারবার চলত, নাকি তার আড়ালে অন্য কোন কারবার চলছিল, এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এলাকার মানুষজনের মনে। তাঁরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে এখানে (চাষমোড়) যে পুলিশ ফাঁড়ি ছিল, তা ফেরানো হোক।

পুরুলিয়া মফস্সল ও জয়পুর থানার প্রায় মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান চাষমোড়ের। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আড়শা থানার কাঁটাডি পুলিশ ক্যাম্প মাওবাদীরা লুঠ করার পরে জেলার অন্যান্য ফাঁড়ির সঙ্গে এই ফাঁড়িটিও তুলে দেওয়া হয়। সে সময় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছিল, কম বাহিনী নিয়ে আর ফাঁড়ি রাখা হবে না। যথেষ্ট সংখ্যক বাহিনী রেখে ফের ফাঁড়ি চালু করা হবে। এর পরে দীর্ঘ ৯ বছর পেরোলেও ফাঁড়ি আর চালু হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য যুক্তি, চাষমোড়ের বুক চিরে চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। এই মোড়ের খুব কাছেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। মফস্সল থানা ও জয়পুর থানার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানা। সে কারণেই এখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরদারি থাকা প্রয়োজন। গোলবেড়া গ্রামের বাসিন্দা হৃষিকেশ মাহাতো বলেন, “চাষমোড়ের পুলিশ ফাঁড়িটি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন। এখান থেকে মফস্সল থানা বা জয়পুরের দূরত্ব অনেকটাই। তা ছাড়া, মানুষ প্রয়োজনে এখান থেকে পুলিশের সহায়তা পেতেন।” স্থানীয় গাড়াফুসড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কমলকান্ত মাহাতো বলেন, “নানা কারণে ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অবিলম্বে এখানে ফাঁড়িটি চালু হওয়া দরকার। আমরাও গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এ নিয়ে চিঠি লিখব।”

গাড়াফুসড় গ্রামেই বাড়ি রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুরের অস্ত্র কারখানা সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন। চাষমোড়ে পুলিশ ফাঁড়ি চালু করার বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, “এই বিষয়টি আমরা দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE