Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বন্দুকের কারখানার খোঁজ মিলল রঘুনাথপুরে, ধৃত ৬

বন্দুক তৈরির আস্ত একটি কারখানার হদিস মিলল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরে। শুক্রবার দুপুরের দিকে রঘুনাথপুরের ব্লক ডাঙা এলাকায় অভিযান চালান খোদ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার। একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুক তৈরির ছাঁচ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। বাড়িটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে।

উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের যন্ত্রাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের যন্ত্রাংশ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৯
Share: Save:

বন্দুক তৈরির আস্ত একটি কারখানার হদিস মিলল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরে। শুক্রবার দুপুরের দিকে রঘুনাথপুরের ব্লক ডাঙা এলাকায় অভিযান চালান খোদ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার। একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুক তৈরির ছাঁচ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। বাড়িটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে। ধৃতেরা হল মহম্মদ কাল্লু, মহম্মদ আমির, মহম্মদ সিকান্দার, অরুনকুমার বর্মা, রাজেশ কুমার ও মহম্মদ চাঁদ। তাদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া, ভাগা ও বিহারের মুঙ্গের এবং ওড়িশার রাউরকেল্লায়। পুলিশ সুপার এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, “রঘুনাথপুর শহরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস মিলেছে। ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা। ধৃতদের জেরা করে ওই বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর শহরের ব্লক ডাঙা এলাকায় কবরস্থানের অদূরে হারাধন গড়াইয়ের ভাড়া বাড়িতে ওই কারখানা তৈরি হয়েছিল। বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের ঝারিয়ার বাসিন্দা মহম্মদ হামিদ আনসারি। তবে এ দিন তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়িটিতে লেদ মেশিন বসিয়ে রীতিমতো ছোট মাপের অস্ত্র কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। কারখানা চালানোর জন্য আলাদা ভাবে বিদ্যুত সংযোগ ও জেনারেটরের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ দিন দুপুরের দিকে আচমকাই ওই বাড়িতে অভিযান চালান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সূত্রের খবর, রঘুনাথপুরের এই কারখানাটিতে নাইম এমএম ধাঁচের ছোট বন্দুকের ছাঁচ তৈরি হত। বন্দুকের বিভিন্ন অংশও তৈরি হত। এ সব কাজ করত ওই ছ’জন মিস্ত্রি। পুলিশের ধারণা ছাঁচ তৈরির পরে তা অন্যত্র পাচার করা হত, যেখানে বন্দুকের ভিতরের যন্ত্রাংশ জোড়া লাগিয়ে পুরোদস্তুর বন্দুক তৈরি করা হত। প্রসঙ্গত রঘুনাথপুরে এই বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোটা বন্দুক পায়নি। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর পুরোটাই বন্দুকের ছাঁচ সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। এ দিকে শহরের মধ্যেই জনবহুল এলাকা থেকে বন্দুক তৈরির কারখানার হদিস মেলায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রঘুনাথপুরে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, শহরের মধ্যে কতদিন ধরে এই কারখানা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় পুলিশের কাছেও এতদিন এই কারখানার সম্পর্কে কার্যত কোনও খবর কেন ছিল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE