দিনের আলো ফুরিয়ে আসছিল। মরদেহ সৎকার করতে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল। হঠাৎ সেখানে হাজির পুলিশ। তারা দেহ সৎকার করতে দিলেন না। শ্মশানের বদলে সেই দেহ পুলিশ নিয়ে গেল মর্গে। বোরো থানার আঁকরো বড়কদম পঞ্চায়েতের হরিয়ালমারি গ্রামে সোমবারের ঘটনা। মঙ্গলবার ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত নন্দলাল মাহাতোর (৭৫) দেহ ময়না-তদন্ত করে নিয়ে আসার পরে সৎকার করা হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নন্দলালবাবুর মৃত্যু হয়। সে দিন বিকেলে তাঁর সৎকারের তোড়জোড় করছিলেন ছেলেরা ও পরিজনেরা। এমন সময় পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। পুলিশের দাবি, নন্দলালবাবুর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে তাঁদের কাছে ফোন গিয়েছে। তাই পুলিশ দেহটি সৎকার করার আগে ময়না-তদন্তে পাঠায়।
গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, নন্দলালবাবুর দুই ছেলে। ছোট ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে থাকেন বড়ছেলের পরিবার। পৈতৃক জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্প্রতি অশান্তি শুরু হয়েছিল। ছোট ছেলে বাড়ি ফিরতে তা বড় আকার নেয়। তিনি ফয়সালা করতে গ্রামবাসীর স্মরণাপন্ন হন। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসী রবিবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সমান ভাবে ভাগ করতে হবে।
গ্রামবাসীদের একাংশের সন্দেহ, সিদ্ধান্ত হওয়ার পরের দিনই নন্দলালবাবুর মৃত্যু হওয়ায় রহস্যজনক মনে হয়েছে তাঁদের। সে কারণে তাঁদের কেউ কেউ মৃত্যুর ময়না-তদন্ত করা জরুরি বলে মনে করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy