প্রতীকী ছবি।
রক্তেও আমরা-ওরা। জেলার ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের হাহাকার চলছে। প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য নাকাল হতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। কোথাও কোথাও চড়া দাম দিয়ে রক্ত কিনতেও হচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রক্তের আকাল মেটাতে থানায় থানায় রক্তদান শিবির করার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেও তার অনুমতি মিলল না। রাজনৈতিক উদ্দেশেই অনুমতি মেলেনি বলে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ।
স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার নানুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল ডিওয়াইএফ। কর্মসূচির কথা ৩১ অক্টোবর নানুরের বিএমএইচ এবং ১ নভেম্বর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে লিখিত ভাবে জানানোও হয়। সেই মতো রক্তদাতাদের জানানো, টিফিন-সহ সমস্ত ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলা হয়। কিন্তু, এ দিন বিএমওএইচ উদ্যোক্তাদের ফোন করে রক্তদানের অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন।
ডিওয়াইএফ-এর নানুর এলাকার সম্পাদক আসগর আলি বলেন, ‘‘একেবারে শেষ মুহূর্তে বিএমওএইচ ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতির আপত্তিতে রক্তদান শিবিরের অনুমতি দেওয়া যাবে না। আসলে শাসক দল চাইলে যে কোনও দিন যে কোনও জায়গায় রক্তদান শিবিরের অনুমতি পাচ্ছে। কিন্তু আমরা বিরোধী দল বলেই অনুমতি দেওয়া হল না।’’ রক্ত নিয়েও শাসকদল রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ সিপিএমের যুব নেতৃত্বের। বিকল্প জায়গা না পেলে শেষ পর্যন্ত শিবির বাতিল করতে হবে বলেও জানিয়ে রেখেছেন আসগর।
বিএমওএইচ সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতির আপত্তির কথা আমি বলিনি। আসলে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। সেই জন্যই রক্তদান শিবিরের অনুমতি দেওয়া যায়নি।’’ ব্লক রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরা বলেন, ‘‘আমরাও তো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে শিবির করি না। ওরা পারলে অন্য জায়গায় রক্তদান শিবির করুক। কোনও আপত্তি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy