Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আদালতের নির্দেশের পরেও দূষণ দ্বারকায়

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরেও তারাপীঠে দ্বারকা নদের দূষণ রোখা যায়নি। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখনও বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে দূষিত জল দ্বারকা নদে গিয়ে মিশে চলেছে। নদী দূষণের মামলার পরে তারাপীঠের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এখনও শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লির কাজ শুরু হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০৮
Share: Save:

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পরেও তারাপীঠে দ্বারকা নদের দূষণ রোখা যায়নি। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখনও বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে দূষিত জল দ্বারকা নদে গিয়ে মিশে চলেছে। নদী দূষণের মামলার পরে তারাপীঠের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এখনও শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লির কাজ শুরু হয়নি। তারাপীঠের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর এখনও ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ বসানো হয়নি। প্লাস্টিক, থার্মোকলের অবাধ দূষণ তো রয়েছেই।

তারাপীঠে দূষণ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পরিবেশের হাল ফেরাতে আড়াই বছর আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চল বেঞ্চে ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার জেরেই সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে (টিআরডিএ)তারাপীঠের হোটেল–রেস্তোরাঁগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার পাশাপাশি দ্বারকা নদের দূষণ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশের পরে পর্ষদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ— সকলেই দ্বারকা নদের সংস্কারে হাত লাগায়। তারাপীঠের উন্নয়নেও বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়। কয়েকটি চালুও আছে। কিন্তু, এখনও তারাপীঠের অধিকাংশ লজ ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ করেনি বলে অভিযোগ।

এ দিকে, ওয়াটার প্ল্যান্ট-সহ নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ‘সুয়েজ ডেভলপমেন্ট তারাপীঠ এরিয়া’ প্রকল্পে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ করে রাজ্য সরকার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে সে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অর্থ এবং জমি না পাওয়ায় প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়নি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইপ লাইনের কাজের জন্য কিছু দিন আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার জন্য যে ৯ একর জায়গা দরকার, সেটা এখনও পাওয়া যায়নি।

টিআরডিএ-এর মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস মানছেন, ‘‘তারাপীঠে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার জন্য এখনও জমি পাওয়া যায়নি।’’ যোগ করছেন, ‘‘পরিস্থিতি সামাল দিতে তারাপীঠে বেশ কয়েক’টি জায়গা বেছে সেখানে জল সংগ্রহ করে ওয়াটার প্লান্টের মাধ্যমে শোধন করে নদী দূষণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের রামপুরহাট বিভাগের সিভিল ইঞ্জিনিয়র প্রশান্ত সরকার জানান, প্ল্যান্ট গড়তে জমি খোঁজার কাজ চলছে। কয়েক’টি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pollution Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE