Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

৫০ কোটি নিয়ে ধর্না ডাকঘরের

তাদের বাতিল নোট ব্যাঙ্কে জমা করার শেষ দিন ছিল শনিবার। কিন্তু ব্যাঙ্কে সেই টাকা জমা দিতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ল বাঁকুড়া জেলা মুখ্য ডাকঘর।

টাকা বোঝাই ট্রাঙ্ক।—নিজস্ব চিত্র।

টাকা বোঝাই ট্রাঙ্ক।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

তাদের বাতিল নোট ব্যাঙ্কে জমা করার শেষ দিন ছিল শনিবার। কিন্তু ব্যাঙ্কে সেই টাকা জমা দিতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ল বাঁকুড়া জেলা মুখ্য ডাকঘর।

এ দিন সন্ধ্যায় বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্কে করে ডাকঘর তাদের কাছে জমা পড়া বাতিল ১০০০ ও ৫০০ টাকা জমা করতে মাচানতলার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যায়। কিন্তু ব্যাঙ্ক ওই টাকা জমা নেয়নি। এরপর ব্যাঙ্কের দরজার সামনে টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক রেখে তা জমা নেওয়ার অনুরোধ জানান ডাকঘরের কর্মীরা। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত
চিঁড়ে ভেজেনি।

কেন টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে না? ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক কর্তার দাবি, ‘‘ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল, এ দিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে টাকা জমা করতে হবে। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁরা টাকা জমা করতে এসেছিলেন। ততক্ষণে ব্যাঙ্কে টাকা জমা করার কাজ চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ যদিও তা মানতে নারাজ বাঁকুড়া ডাক বিভাগের কর্তারা। তাঁদের পাল্টা দাবি, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই ওই ব্যাঙ্ক আমাদের টাকা জমা করতে গড়িমসি করছিল। তার উপরে এ দিন জেলার প্রায় ৪৮৬টি উপ-ডাকঘর থেকে জমা করা বাতিল টাকা বাঁকুড়ায় নিয়ে আসতে সময় লেগেছে। তার পরেও ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে যাই। কিন্তু তাঁরা দেরি করেছি বলে টাকা নিতে চাননি।’’

অনেক রাতের খবর, ডাক কর্তৃপক্ষ ওই ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে আলোচনা চালান। টাকার ট্রাঙ্কও ডাকঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও অত টাকা ব্যাঙ্কের বাইরে অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে থাকলেও কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা পুলিশকর্মীদের সেখানে চোখে পড়েনি। ডাককর্মীরাও যখন টাকা ফিরিয়ে নিয়ে যান, তখনও পুলিশ ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

post office bank demonetisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE