Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ঠাসা ভিড়েই বস্ত্রদান, প্রশ্নে মন্ত্রীর উদ্যোগ

পারস্পরিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত এ ওর ঘাড়ে উঠে দানের কাপড় সংগ্রহ করলেন।

নতুন পোশাক নিতে ভিড় রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

নতুন পোশাক নিতে ভিড় রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:১৭
Share: Save:

হাইকোর্টের নির্দেশে মণ্ডপে নজরদারি চলছে, দর্শনার্থী যাতে বিধি নিষেধ মেনে মণ্ডপ দেখেন। কিন্তু ষষ্ঠীর সকালটাই অন্যরকম হল রামপুরহাটের বাসিন্দাদের কাছে। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় দশহাজার মানুষের ঢল নামল, জমায়েত হল। অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখতে পাওয়া গেল না, বিধি মানার বালাইও ছিল না। এই জমায়েতের কারণ কোনও দর্শনীয় পুজো মণ্ডপ নয়, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর বস্ত্রদানের অনুষ্ঠান।

পারস্পরিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত এ ওর ঘাড়ে উঠে দানের কাপড় সংগ্রহ করলেন। এই অনুষ্ঠানে ভিড় সামলাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হল পুলিশকে। করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান ও জমায়েতের সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। সূত্রের খবর, প্রায় আট হাজার বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেশ কিছু লোকজন কাপড় না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। করোনার সময় বস্ত্র দান নিয়ে শহরে ভিড় প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘মন্ত্রী বস্ত্র দান করে বিধানসভা ভোটের প্রচার করতে চেয়েছেন। আর পুলিশ প্রশাসনের কাছে এসব ভিড় জমায়েত নজরে পড়ে না। তাঁদের কাছে শাসক দলের মন্ত্রী মানে আইনের উর্ধ্বে।’’

যদিও কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিধায়ক হওয়ার পরে প্রতি বছর পুজোর সময় ষষ্ঠীর দিন এলাকার দুঃস্থ মানুষের মধ্যে নিজের উদ্যোগে বস্ত্রদান করি। জনসংখ্যার নিরিখে সেই বস্ত্র দানের চাহিদা দিনের পর দিন বাড়ছে। মানুষ সামান্য একটা কাপড়ের জন্য এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আমি তো আমার সাধ্য মতো তা পূরন করার চেষ্টা করি।’’

বিরোধীদের সমালোচনার প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘‘কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের শঙ্কা থেকে বস্ত্রদানে খোলামেলা জায়গা বাছা হয়েছিল। তাই জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন স্কুলে এবার বস্ত্রদানের আয়োজন করা হয়। সকলকেই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং মাস্ক পরে আসার জন্য বলা হয়েছিল।’’ যদিও বাস্তবে এ দিন সকাল থেকে দেখা যায় বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন, বিশেষ করে রামপুরহাট ১ ব্লকের আদিবাসী এলাকা থেকে মহিলারা তাঁদের ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সকাল থেকে লম্বা লাইনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন। অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না। জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন-এর ভিতর ও বাইরে লোকজনের মধ্যে কোনও রকম দূরত্ববিধি মেনে চলতেও দেখা যায়নি। বেলা বাড়তে ভিড় স্কুলের গেট ছাড়িয়ে দেড়শ মিটার দূরে মন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন গণেশ মন্দির এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। পুজোর সময় সদা ব্যস্ত ব্যাঙ্ক রোডের উপর সেই ভিড় সামলাতে পুলিশ নাজেহাল হয়।

সূত্রের খবর, প্রায় আট হাজার বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেশ কিছু লোকজন কাপড় না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE