Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আসতে পারেন রাজ্যের কর্তারা 

দ্বারকেশ্বরের চর দিয়ে জামকুড়ি অঞ্চলের বারাবন থেকে আখড়াশাল পর্যন্ত গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। মেটেপাড়ার থেকে কিছু দূরে প্রায় পাঁচ ফুট গভীর নয়নজুলির মতো গর্তে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন বালিকার। 

স্মরণ: পড়ুয়াদের মিছিল আখড়াশাল গ্রামের পথে। নিজস্ব চিত্র

স্মরণ: পড়ুয়াদের মিছিল আখড়াশাল গ্রামের পথে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পাত্রসায়র ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:০২
Share: Save:

রাস্তার পাশে খাল কেটে বিপদ ডেকে আনল কে— সেই প্রশ্নটাই ফিরে ফিরে আসছে আখড়াশালে।

দ্বারকেশ্বরের চর দিয়ে জামকুড়ি অঞ্চলের বারাবন থেকে আখড়াশাল পর্যন্ত গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। মেটেপাড়ার থেকে কিছু দূরে প্রায় পাঁচ ফুট গভীর নয়নজুলির মতো গর্তে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন বালিকার।

মৃত রিয়া বাউড়ির মামা ধানসিমলার বাসিন্দা ভজন বাউরির অভিযোগ, ‘‘বেআইনি ভাবে পাশের জমি থেকে মাটি তুলে রাস্তার কাজ চলছিল। সেই গর্তেই চাপা পড়েছে ওরা।’’ বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘প্রশাসন এবং স্থানীয় মানুষের থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।’’

সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকেরা। ওই গর্ত রাস্তার জন্যই খোঁড়া হয়েছিল কি না তা নিয়ে এ দিন কোনও বিবৃতি মেলেনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে বলে খবর।

তবে প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গ্রাম সড়ক যোজনায় জমি অধিগ্রহণ করা হয় না। পুরো কাজটাই হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের দান করা জমিতে। মাটিও তোলা হয় ওই সমস্ত জমি থেকেই।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তা তৈরির ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছিল গত অক্টোবরে। সম্প্রতি কাজ শুরু হয়। বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে রাস্তার কাজ হচ্ছিল না। সে ক্ষেত্রে নিদেন পক্ষে গর্তের চারপাশ কিছু দিয়ে ঘিরে রাখা হল না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকার অনেকেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা পরিদর্শনে আসতে পারেন।

এ দিন এলাকার লোকজন প্রশাসনের কর্তাদের অনুরোধ করেন, বাকি গর্ত বুজিয়ে দিতে। স্থানীয় বাসিন্দা দুঃশাসন আড়ি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই কেটেছিল গর্তটি। ঠিকাদার একটু সচেতন হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’’

জেলাশাসক বলেন, ‘‘যে সব জায়গায় এখনও গর্ত রয়েছে তা ভরাট করে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় জখম কৃষ্ণ বাউড়ি আর বৃষ্টি বাউড়ি নামে দুই বালক-বালিকার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Leader Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE