খাঁখাঁ: দর্শকদের বসার জায়গা। নিজস্ব চিত্র
শুরু হল ৩৩ তম পুরুলিয়া জেলা বইমেলা। বিতর্ক নিয়েই। চলবে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত— প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা।
বুধবার পুরুলিয়া শহরের হিলভিউ ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মঞ্চে উপস্থিত প্রায় পঁচিশ জন বিশিষ্ট মানুষকে বরণ করতেই পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়। একটা সময়ে ঘোষকও বলেন, ‘‘বরণপর্ব একটু দীর্ঘ হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, সকলকে নিয়েই বইমেলা।’’
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মঞ্চে উঠছেন, তখন আবার উদ্বোধককে বসানোর চেয়ার খালি নেই। মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো সোফা ছেড়ে পাশের চেয়ারে বসে পরিস্থিতি সামাল দেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে যখন মেলার সূচনা হচ্ছে, ততক্ষণে ধৈর্য হারিয়ে কেউ কেউ উঠে পড়েছেন। অনেক চেয়ার খালি।
মেলার মূল প্রবেশপথের সামনে ফিতে কাটার আগে কাঁচি না থাকায় শান্তিরাম মাহাতো, রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যদের কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে এক জন ছুটে কাঁচি নিয়ে এলে ফিতে কাটা হয়।
গত বার বইমেলার বিক্রি নিয়ে মঞ্চ থেকে দেওয়া তথ্য নিয়ে একাধিকবার গুঞ্জন ওঠে। কমিটির এক কর্তা প্রথমে বলেছিলেন, গত বার ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। মঞ্চে বসা অন্য কয়েক জন তাঁকে শুধরে দেন। ওই কর্তা বলেন, ‘‘ভুল হয়েছিল বলতে। গত বার আট লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।’’ ফের গুঞ্জন শুরু হয়। আবার সংশোধন করে তিনি বলেন, ‘‘গত বার ষাট লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের অধিকর্তা স্বরূপকুমার পাল, পুরুলিয়ার উপপুরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডল প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy