দুর্গাপুজোতে শব্দবাজি দাপট দেখিয়েছিল বলে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছিল। কালীপুজোয় তাই সর্তক বলে দাবি করল পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর শহরে অল্পমাত্রায় শব্দবাজি ফাটতে দেখা গিয়েছে। তবে রাত গড়ালে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে সংশয়ে আমজনতা থেকে পুলিশ প্রশাসন।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সব ক’টি থানাকেই শব্দবাজি রুখতে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশও গত ক’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বাজির তল্লাশিও চালিয়েছে। শব্দবাজিও আটক করা হয়েছে। রাতভর পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে।’’
সুপ্রিম কোর্ট এ বার নির্দেশ দিয়েছে, রাত আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা কম দূষণের বাজি পোড়ানো যাবে। যদিও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন শহর ও ব্লক সদরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শব্দবাজি অনেকেই আড়ালে আবডালে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। খুব পরিচিত না হলে, তাঁরা বিক্রি করছেন না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে যেখানে পুলিশের নজরদারি তুলনামূলক ভাবে কম, সেখানে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ কতটা মানা হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বাঁকুড়া সদর থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দুর্গাপুজোর পর থেকেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চলছে। শহরের পাটপুর, লালবাজার প্রভৃতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আট বস্তা নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করেছে।
পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানান, শব্দবাজির দাপট রুখতে কালীপুজো ও দীপাবলির দিনটিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সূচির মধ্যেই যাতে কম দূষণের বাজি পোড়ানো তা নজর রাখতে। কোথাও কোনও সমস্যা হলে, সাধারণ মানুষ বাঁকুড়া পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন (৯০৮৩২৬৯৩৪৩) করে জানাতে পারবেন। এ ছাড়া, পুলিশের টহলদারি গাড়ি এলাকায় ঘুরবে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হলে, পুলিশ হাতেনাতে ব্যবস্থা নেবে।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা সব রকম ভাবে সতর্ক রয়েছি। নিয়ম ভেঙে বাড়ি ফাটালে কেউ ছাড়া পাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy