Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি তালড্যাংরায়

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হল তালড্যাংরা ব্লকের রাজপুর, মান্ডি, গামারবলি, সাতমৌলি ইত্যাদি গ্রামে। ওই সব গ্রামের বহু মাটির বাড়ির টিনের চালা ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল।

ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপটে নুইয়ে পড়েছে ধানের খেত। রাজপুর গ্রামে বুধবার ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।

ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপটে নুইয়ে পড়েছে ধানের খেত। রাজপুর গ্রামে বুধবার ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তালড্যাংরা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৭
Share: Save:

শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হল তালড্যাংরা ব্লকের রাজপুর, মান্ডি, গামারবলি, সাতমৌলি ইত্যাদি গ্রামে। ওই সব গ্রামের বহু মাটির বাড়ির টিনের চালা ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল।

গ্রামবাসীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ঘন কালো মেঘ আকাশে জমাট বাঁধে। শুরু হয় ঝড় ও বৃষ্টি। হঠাৎই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। যা প্রায় আধ ঘণ্টার মতো চলে। বহু বাড়ির টিন ও অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ফুটো হয়ে যায়। গামারবনি গ্রামের বাসিন্দা অমরেন্দ্র দত্ত, বাসুদেব সর্দাররা জানান, শিলাবৃষ্টির শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা গ্রাম। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এই গ্রামে বেশ কিছু মানুষ তিল, ঝিঙে, করলা ও কুমড়ো চাষ করেছেন। ঘরবাড়ি ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে চাষেরও ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু গবাদি পশুও জখম হয়েছে শিলাখণ্ডের আঘাতে। তাঁদের কথায়, “টানা শিলাবৃষ্টি চলতে থাকায় আমরা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছিলাম। বৃষ্টি থামতে ধড়ে প্রাণ ফেরে।’’।

রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মল পাল বলেন, “বড় আকারের শিল পড়ছিল। আমার বাড়ির বারান্দার প্রায় ১০ ফুট সম্পূর্ণ ফুটিফাটা করে দিয়েছে।’’ ওই গ্রামের বয়স্ক মানুষ সৌকত আলি খানের মাথা ফেটে যায় শিলের আঘাতে। রাজপুরেরই বাসিন্দা ইসমাইল খান জানান, শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার ধান জমি ও সব্জি চাষের। বিডিওকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তালড্যাংরার বিডিও অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কিছু ত্রিপল পাঠানো হয়েছে ওই সব এলাকায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE