Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
জেলাশাসকের উদ্যোগ

জেলাশাসকের উদ্যোগ, রাজনগরে ফলবে আরবের খেজুর

আরবের পেল্লাই মাপের খেজুরে ভরে উঠেছে খেত। শীঘ্রই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে এই ছবি। স্বনির্ভর মহিলা দলের দেখভালে রাজনগরে লাগানো হবে আরবের খেজুর গাছের চারা। সুস্বাদু ওই খেজুর বিক্রি করে এলাকার মহিলাদের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

দয়াল সেনগুপ্ত
রাজনগর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৩
Share: Save:

আরবের পেল্লাই মাপের খেজুরে ভরে উঠেছে খেত।

শীঘ্রই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে এই ছবি। স্বনির্ভর মহিলা দলের দেখভালে রাজনগরে লাগানো হবে আরবের খেজুর গাছের চারা। সুস্বাদু ওই খেজুর বিক্রি করে এলাকার মহিলাদের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তার জন্য প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দু’শোটি খেজুর গাছের চারা এসে গিয়েছে মাস দু’য়েক আগে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। বেশ কিছু দিন টালবাহানা চলার পরে অবশেষে আজ, মঙ্গলবার গাছগুলো বসানোর কাজে হাত দিতে চলেছে প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজনগরের শুষ্ক আবহাওয়া দেখে আরবের খেজুর গাছ লাগানোর বিষয়টি জেলাশাসক পি মোহন গাঁধীর মাথায় আসে। ঠিক হয়, রাজনগরের হরিপুরে ১০ একর জমিতে কৃষি, উদ্যানপালন এবং ১০০ দিনের কাজের মিলিত উদ্যোগে আরবের বারহি প্রজাতির খেজুর চারা লাগানো হবে। মোট ১৯৩টি গাছের মধ্যে ২৫টি পুরুষ গাছ থাকবে। যে গাছ থেকে ফলন পেতে চার থেকে আট বছর অপেক্ষা করতে হবে। তার পরেই মিলবে সুস্বাদু খেজুর।

পরিকল্পনা মতো আরব থেকে খেজুর গাছের চারা প্রথমে গুজরাতে আসে। প্রশাসনের তিনটি বিভাগের আধিকারিকেরা সেখান থেকেই চারা নিয়ে আসেন। ঠিক হয় পলি শেড গড়ে কিছু দিন রেখে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই গাছগুলি পুঁতে ফেলা হবে। কী ভাবে গাছগুলি লাগানো হবে, তা খতিয়ে দেখতে উপ অধিকার্তা (উদ্যানপালন) সজলেন্দু সিট এবং উপকৃষি অধিকর্তা (বিশ্বব্যাঙ্ক প্রকল্প) সৌমেন্দ্রনাথ দাসরা তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে গিয়ে তা দেখেও আসেন। এত আয়োজনের পরেও অবশ্য গাছ লাগতে বেশ খানিকটা বিলম্বই হল।

কেন?

জেলাশাসক বলছেন, ‘‘গর্ত খুঁড়ে সার দিয়ে সব তৈরি করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। এ বার গাছ লাগানোর কাজ শুরু হবে।’’ প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, যে জৈব সার দিয়ে গাছ লাগানোর কথা, সেই সার-ই ভিন্ রাজ্য থেকে রাজনগরে সময় মতো এসে পৌঁছয়নি। গাছ লাগাতে দেরির কারণ এটাও। এ দিকে, গাছের পাতা শুকোতে শুরু করেছিল। কিন্তু পাছে জেলাশাসক ক্ষুণ্ণ হন, তা-ই এ নিয়ে কেউ-ই মুখ খুলতে রাজি হননি। রাজনগরের বিডিও দীনেশ মিশ্র অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘গাছগুলি খারাপ নেই, এটুকু বলতে পারি।’’

উপকৃষি অধিকর্তা (বিশ্বব্যাঙ্ক প্রকল্প) সৌমেন্দ্রনাথ দাস বলছেন, ‘‘আত্মা প্রকল্পে গাছগুলি এনে দেওয়া আমাদের কাজ ছিল। বাকি কাজ তো উদ্যানপালন বিভাগের।’’ ওই দফতরের উপ অধিকর্তা সজলেন্দু সিট অবশ্য বলছেন, ‘‘গাছের কোনও ক্ষতি হয়নি।’’ আজ, গাছ লাগানো শুরু হলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

যার জন্য এত কিছু, আরবের সেই খেজুর রাজনগরে ফলবে তো? আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞেরা। সে জন্য সব রকম প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rajnagar Dates
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE