পদযাত্রা: বামফ্রন্টের মিছিলে শরিক দলের নেতারা। সোমবার বোলপুরের রাজপথে। নিজস্ব চিত্র
লাল-পতাকা নিয়ে পথে নামলেন কয়েক হাজার বামফ্রন্ট কর্মী-সমর্থক। সোমবার বোলপুরের রাস্তায়। নেতৃত্ব দেন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। পদযাত্রায় সামিল হন রামচন্দ্র ডোম, আভাস রায়চৌধুরী, মনসা হাঁসদা, কুন্তল রুদ্র, শ্যামলী প্রধান, দীপক চট্টোপাধ্যায়। বোলপুর, নানুর, লাভপুর, কীর্ণাহার, ইলামবাজার, মল্লারপুর, ময়ূরেশ্বর, নলহাটি থেকে এসেছিলেন বামফ্রন্টের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মহিলাদের নিরাপত্তা, দরিদ্রদের বাড়ি ও ১০০ দিনের কাজ দেওয়া, সরকারি দফতরে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সহ একগুচ্ছ দাবিতে পদযাত্রা থেকে স্লোগান ওঠে। এর আগে ২৩ অক্টোবর বিমান বসুর নেতৃত্বে বোলপুরের ধান্যসরাতে একটি পদযাত্রা হয়েছিল।
এ দিনের মিছিলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। উঠে আসে ভারতী ঘোষ, মুকুল রায়, নীরব মোদী প্রসঙ্গও। পদযাত্রার রুট পরিবর্তনের জন্য পুলিশদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সুজনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান সড়কে মিছিল করতে না দিয়ে, পাড়ার ভিতর দিয়ে পদযাত্রা নিয়ে যেতে বলা হল। যে বেশি দালালি করবেন তাঁরই কিন্তু বিপদ আছে।’’ বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সামনে রেখে খাদান ব্যবসায়ী, বালির কারবারীরা লুঠতরাজ চালাচ্ছে।
সুজনবাবু বলেন, ‘‘চৌকিদার হয়ে পাহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন। তিনিই ব্যাঙ্কের দরজা গোপনে খুলে দিলেন। নিরাপত্তা নেই কোথাও। কে যে কখন বিজেপি বা তৃণমূলে যাচ্ছেন, বোঝাই যায় না।’’
শাসক দলের কথাতেই পুলিশ, প্রশাসন মিছিলের রুট বদলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম মিছিলটা হোক। ওই তো কয়েকটা লোক হয়েছে। মানুষ সব দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy