প্রতীকী ছবি।
যত দিন যাচ্ছে, বীরভূমে দৈনিক ট্রেন চালানোর দাবি ততই জোরালো হচ্ছে।
জেলায় ট্রেন চালুর দাবিতে এ বার রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অনেক মানুষ চাইছেন, বর্ধমান থেকে বোলপুর এবং অন্ডাল হয়ে সাঁইথিয়া রুটের লোকাল ট্রেন না চলায় অনেক মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ওই রুটে অবিলম্বে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হোক।
অন্য দিকে, ট্রেনের দাবিতে রামপুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সমিতির দাবি, রামপুরহাট স্টেশন থেকে বর্ধমান, হাওড়া, শিয়ালদহ, সাহেবগঞ্জ, আজিমগঞ্জ যাওয়ার জন্য ট্রেন চালু করা হোক। লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার বাঁশলৈ স্টেশনের ম্যানেজারের হতে স্মারকলিপি দেয় বাঁশলৈ প্যাসেঞ্জার ইউনিয়ন।
রামপুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে লক্ষ্মী ভকত, কার্তিক প্রসাদ, মহেশ ঝুনঝুনওয়ালারা জানান, হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে শহরতলি এবং বর্ধমান, মেদিনীপুরের লোকাল চালু হয়েছে।
অথচ রামপুরহাট পূর্ব রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ট্রেন পরিষেবা মিলছে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী রেলপথ গিয়েছে রামপুরহাটের উপর দিয়ে। এ ছাড়াও আছে তারাপীঠের মতো পর্যটন ও তীর্থক্ষেত্র। ব্যবসায়ীদের দাবি, ট্রেন না-থাকায় তাঁরা ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে নিয়মিত কলকাতা, বাওড়া যেতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে অনেক বেশি টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে মালপত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে। এর ফলে হয়রানির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আর্থির ক্ষতিও বাড়ছে।,
ব্যবসায়ীদের দাবি কে সমর্থন করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হাঁসনের বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক এবং হাওড়া ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারকে ই-মেলে রামপুরহাট স্টেশন থেকে দৈনিক ট্রেন চালু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’ মল্লারপুরের বাসিন্দারাও সম্প্রতি বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে ট্রেন চালুর দাবিতে মল্লারপুর স্টেশনের ম্যানেজারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার হাবিদুস জামান জানান, দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দৈনিক ট্রেন চালুর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।
ট্রেন না চলায় বিপাকে পড়েছেন বাঁশলৈ স্টেশন লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনও। বাঁশলৈ প্যাসেঞ্জার ইউনিয়নের সদস্য মোস্তাক শেখ, জয়তারা রাম, বাপি মিত্ররা বলেন, ‘‘এই এলাকার মানুষজন যাতায়াতের জন্য ট্রেনের উপরেই নির্ভরশীল। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া, রোগী, ব্যবসায়ীরা ট্রেনে রামপুরহাট ও কলকাতা যাতায়াত করেন। বেশির ভাগেরই গাড়ি ভাড়া করে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। এই অবস্থায় ট্রেন দ্রুত চালু না হলে বিপদ ও ভোগান্তি আরও বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy