প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক নিখোঁজ থাকা এক নাবালিকাকে উত্তরাখণ্ডের কনখল থেকে ফিরিয়ে আনল বোলপুর পুলিশ। ওই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে বোলপুরেরই এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সুমন্ত রায়ের বাড়ি ত্রিশূলাপট্টিতে। বুধবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের ধারার সঙ্গে পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াতেন। বছর ষোলোর ওই নাবালিকাও ছিল ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ মে বিকেলে ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যায় সে। পড়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় শিক্ষকের বাড়ি যান পরিজনেরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনিও
বাড়িতে নেই। এর পর ৩০ মে বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নাবালিকার বাবা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ সক্রিয় হয়েছিল বলেই দিনের শেষে মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।’’
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এই কেসের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন এসআই পার্থ মুখোপাধ্যায়। পার্থবাবু জানান, তদন্তে নেমে দেখা যায় দু’জনেরই ফোন বন্ধ। তবে কল ডিটেলস দেখে কিছু নম্বর মেলে, যেগুলি উত্তরাখণ্ডের। কৌশলে সেখানে যোগাযোগ করে একটি সূত্র মারফৎ উত্তরাখণ্ডে নেওয়া নতুন নম্বর পেয়ে যায় পুলিশ। তখন জানা যায়, নৈনিতালে আছেন দু’জনে। বীরভূম পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে বোলপুর থেকে রওনা দেয় পুলিশ। সে বার ধরা না গেলেও পরে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে হরিদ্বারের কাছে কনখলে নিখোঁজ নাবালিকা রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। ২ জুলাই, মঙ্গলবার সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। অভিযুক্ত শিক্ষককেও পাওয়া যায় সেখানেই।
বুধবার সকালে বোলপুর ফিরেই আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশের তরফ থেকে পকসো আইনে ধারা দেওয়া, নাবালিকার গোপন জবানবন্দি এবং মেডিকেল টেস্ট করানোর অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। এর আগে মার্চ মাসে বোলপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন নাবালিকাকে এপ্রিল মাসে রাজস্থান থেকে উদ্ধার করেছিল বোলপুর পুলিশ।
এসডিপিও (বোলপুর) অভিষেক রায়ের কথায়, ‘‘নাবালিকা নিখোঁজ হলে আমরা বিশেষ নজর রাখছি। এ কাজে আমরা ১০০ শতাংশ সফল। আগামী দিনেও তৎপরতার সঙ্গেই বিষয়টিতে নজর রাখা হবে।’’
এসডিপিও জানান, মেয়েদের স্কুলে স্কুলে সচেতনতামূলক প্রচারের পরিকল্পনা শুরু করছেন তাঁরা। নাবালিকা স্কুলছাত্রীরা যাতে কোনও ফাঁদে পা না দেয়, সেই বিষয়ে সচেতন করাই যার উদ্দেশ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy