বদলি করা হল রামপুরহাটের মহকুমাশাসক শ্রুতিরঞ্জন মোহান্তিকে। নতুন সরকারি নির্দেশিকায় তাঁকে জনশিক্ষা প্রসার এবং পাঠাগার দফতরের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি পদে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ নভেম্বর রামপুরহাট থানা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নবান্নকে লেখা অভিযোগপত্রে মহকুমাশাসক জানিয়েছিলেন, তাঁকে থানায় আটকে রেখে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরের দিনই ছুটিতে চলে যান শ্রুতিরঞ্জন। তিনি যে-সব পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা সেখানেই এখনও কাজ করছেন।
নবান্নে পাঠানো অভিযোগে মহকুমাশাসক জানিয়েছিলেন, বীরভূমের ক্রাশার মালিকদের এক প্রতিনিধিদল তাঁর কাছে এসে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। খাদান বন্ধের হুমকিও দিয়েছিলেন ক্রাশার মালিকেরা। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তিনি রামপুরহাট থানার আইসি-কে ডেকে পাঠান। আইসি না-আসায় ১৬ তারিখ বিকেলে সাড়ে ৪টে নাগাদ এক জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে শ্রুতিরঞ্জন নিজেই হাজির হন থানায়। ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গলের ২২(এ) ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া ক্ষমতাবলে তিনি থানা ‘পরিদর্শন’ও শুরু করেন। পুলিশ দাবি করেছিল, মহকুমাশাসক ঢুকে আইসি-র খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। জেনারেল ডায়েরি খুলে দেখার পরে তা ছুড়ে ফেলেন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে এসডিপিও থানায় ছুটে আসেন। মহকুমাশাসকের থানা ও লক-আপ পরিদর্শনের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। লিখিত অভিযোগে শ্রুতিরঞ্জনের দাবি, পুলিশ থানার দু’টি গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে থানা থেকে বেরোতে সমর্থ হন মহকুমাশাসক। সরকারি কাজে গিয়ে এমন ‘হেনস্থা’র বিহিতও চেয়েছেন মহকুমাশাসক।
নবান্নের কর্মিবর্গ এবং প্রশাসন দফতরের আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, মহকুমাশাসক সম্মানের সঙ্গে ওই এলাকায় আর কাজ করতে পারছেন না। সেই কারণেই তিনি ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর কথা ভেবেই অন্য দফতরে বদলি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy