দুর্ঘটনাগ্রস্ত: এই মোটরবাইকেই ধাক্কা মারে এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র
রেললাইনের উপরে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্টার্ট। তখনই নজরে আসে ধেয়ে আসছে শতাব্দী এক্সপ্রেস। চলেও এসেছে এক্কেবারে ঘাড়ের কাছে। ওই অবস্থায় মোটরবাইক লাইনে ফেলেই চম্পট দিয়েছিলেন গাড়ির তিন সওয়ারি। তবে মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মেরে ছিটকে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছু হয়নি। এ যাত্রায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও সোমবার মুরারইয়ের চর্চায় ফিরে এসেছে রেলগেটের কথা। যে রেলগেট আর যানজট মুরারইয়ে সমার্থক। দিনে অন্তত বার তিরিশেক পড়ে গেট। তাতে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট হয়।
সোমবার সকালেও তেমন হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখন সাড়ে দশটা হবে। বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের মুরারই স্টেশন সংলগ্ন রেল ফটক হয়ে ডাউন ১২০৪২ শতাব্দী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। তখন স্বাভাবিক ভাবেই রেলগেট নামানো ছিল। সেই সময়েই একটি মোটরবাইকে তিন যুবক ঝুঁকি নিয়ে রেলগেট পারাপারের চেষ্টা করে। ডাউন লাইনে উঠতে আবার মোটরবাইক বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় ছুটে আসা এক্সপ্রেস দেখে গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তিন আরোহী। ঘটনার পর থেকেই মোটরবাইক চালক ও আরোহী পলাতক। রেল পুলিশ গাড়ির মালিকের খোঁজ শুরু করেছে। মোটরবাইকটিকে রেলপুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
মুরারইয়ে সব চেয়ে বড় সমস্যা রেলগেট। বাইপাস রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও আজও হয়নি। ফলে বারবার রেলগেট পার হতে হয়। তাতেই তৈরি হয় যানজট। স্টেশন ম্যানেজার উত্তম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষের এতটুকু ধৈর্য নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রেললাইন পারাপার করছেন অনেকে। এই অভ্যাসের জন্য এ দিন তিন যুবকের জীবনহানি হতে পারত। ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ত।’’ মুরারইয়ের বাসিন্দা সাবিরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘‘রেলগেটটি দীর্ঘ সময় ফেলে রাখায় মানুষ অনেক সময়ে অধৈর্য্য হয়ে গেটের নীচ দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করেন। রেল প্রশাসন ট্রেনের সময় বুঝে একটু বিরতি দিয়ে রেলগেট ওঠা-নামা করলে ভাল হবে।’’ সকলেই মেনেছেন, পুলিশকে আরও গেট পড়ে থাকা অবস্থায় যাতায়াতের চেষ্টা রুখতেই হবে। তা না হলে যে কোনও দিন বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy