Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সৌর-উনুনে ভোগ তৈরি হবে তারাপীঠে

ভোগ-গৃহের পাশে সাড়ে চার মিটার উচ্চতার দু’টি ডিস বসানো হবে। সেগুলির ব্যাসার্ধ ৫.২ মিটার। সে গুলির পাশে সূর্যের তাপ ঘরে রাখার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে উৎপন্ন ‘স্টিম’ ৩০ মিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোগ-গৃহের সোলার উনুনে পৌঁছবে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০০:৪২
Share: Save:

সৌর-উনুনে রান্না হবে মাতারার ভোগ। তারাপীঠে নির্মীয়মাণ ভোগ-গৃহে এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বাস্তুকার ও কর্তারা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়, নির্বাহী বাস্তুকার ও সহকারী বাস্তুকারের সঙ্গে দেখা করেন। প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া হয়। তারাপীঠ মন্দির চত্বরে নির্মীয়মাণ ভোগগৃহও পরিদর্শন করেন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা।

তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, তারাপীঠ মন্দিরে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য নতুন করে ভোগ-গৃহ তৈরির কাজ শেষ হওয়ার মুখে। আগে ভোগ রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠের ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হতো। তা রুখতে সৌরআলোয় মায়ের ভোগ রান্নার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সে জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজের ওয়ার্ক-অর্ডারও হয়ে গিয়েছে। ভোগ-গৃহ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতার একটি সংস্থা ‘সোলার স্টিম কুকিং সিস্টেম’-এর কাজ শুরু করবে। সুকুমারবাবু বলেন, ‘‘কৌশিকি অমাবস্যায় ওই প্রকল্প চালু করতে চাই।’’

কলকাতার ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভোগ-গৃহের পাশে সাড়ে চার মিটার উচ্চতার দু’টি ডিস বসানো হবে। সেগুলির ব্যাসার্ধ ৫.২ মিটার। সে গুলির পাশে সূর্যের তাপ ঘরে রাখার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে উৎপন্ন ‘স্টিম’ ৩০ মিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোগ-গৃহের সোলার উনুনে পৌঁছবে। দিনে দু’হাজারের বেশি লোকের রান্না করা যাবে সেই উনুনে।

তারাপীঠে ভোগ-গৃহের নির্মাণকাজের জন্য এখন মন্দির চত্বরে অন্য এক জায়গায় অস্থায়ী কাঠের জ্বালানির ১০টি উনুনে মাতারার ভোগ রান্না করা হচ্ছে। তারামাতা সেবাইত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, কোজাগরী লক্ষীপুজোর দিন ছাড়া প্রতি দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে মাতারার ভোগ রান্না করা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় রাতে ভোগ রান্না করা হয়। সংক্রান্তি, চতুর্দশী, অষ্টমী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, কালিপুজোয় মাতারাকে খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি ও পায়েসের ভোগ নিবেদন করা হয়। প্রতি দিন মাতারার ভোগে থাকে পোলাও, অন্ন, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, তিন-চার রকম তরকারি, বলির ছাগ-মাংস, মাছ, চাটনি ভোগ নিবেদন করা হয়।

তারাময়বাবু জানান, দিনে প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষের ভোগ রান্না করা হয়। নতুন পদ্ধতিতে আরও বেশি ভক্তের ভোগ রান্না করা যাবে। তিনি দাবি করেন, সৌর-উনুনে অপ্রচলিত শক্তি যেমন কাজে লাগানো যাবে। তেমন তা হবে পরিবেশবান্ধবও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tarapith Temple Solar Power Pollution control
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE