বাঁকুড়া জেলাপরিষদের অডিটোরিয়ামে মলয় ঘটক। নিজস্ব চিত্র
রঘুনাথপুরের পরে এ বার বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত বড়জোড়াতেও শ্রমিকদের জন্য ইএসআই হাসপাতাল খুলতে চাইছে রাজ্য শ্রম দফতর। শনিবার বাঁকুড়ায় এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করতে এসে মলয়বাবু বলেন, “প্রশাসন জমির ব্যবস্থা করে দিলে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে আমরা ইএসআই হাসপাতাল গড়ে দেব। এতে শ্রমজীবী মানুষেরা উপকৃত হবেন।” বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ইএসআই হাসপাতালের জন্য জমি খুঁজতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে।”
আগে বাঁকুড়ায় অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারের অফিস ছিল। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে নানা সমস্যার মিটমাট না হলে ছুটতে হতো দুর্গাপুরে উপশ্রম কমিশনারের অফিসে। সে জন্য ২০১৭ সালের গোড়া থেকেই বাঁকুড়া জেলাতেই উপশ্রম কমিশনারের (ডেপুটি লেবার কমিশনার) দফতর চালু করা হয়। এতে জেলার শ্রমিকদের সমস্যা জেলাতেই মেটানো যাচ্ছে।
তবে এই জেলায় ইএসআই হাসপাতাল না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়েন শ্রমিকেরা। জেলায় মেডিক্যাল কলেজ থাকলেও শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত এলাকা থেকে দূরত্ব বেশি বলে শ্রমিকেরা এত দিন দুর্গাপুরের হাসপাতালেই ছুটতেন। তাই বড়জোড়া এলাকায় ইএসআই হাসপাতাল তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। মন্ত্রীর আশ্বাসে এ বার সেই দাবি পূর্ণ হতে চলেছে আশা করে শ্রমিকেরা খুশি।
শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া জেলা সভানেত্রী অলকা সেন মজুমদার বলেন, “ইএসআই হাসপাতাল গড়ে উঠলে শ্রমিকদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের লোকজনও চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। জেলার শ্রমিকদের এটা দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। প্রশাসন চাইলে হাসপাতালের জমি খোঁজার কাজে আমরাও সব রকম ভাবে সাহায্য করব।” বাঁকুড়া জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বড়জোড়া শহরে না পাওয়া গেলে বাঁকুড়া থেকে বড়জোড়ার মধ্যে কোথাও জমি দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy