অবস্থান: রাইপুর ব্লক অফিসের বাইরে পড়ুয়ারা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও কিছু স্কুল শিক্ষক টিউশন দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রাইপুর এলাকার কিছু শিক্ষক হুমকি-ফোন পেয়ে টিউশন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনই অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ ও ব্লক অফিসে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ‘পছন্দের’ স্কুল শিক্ষকেরা যাতে নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টিউশন দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। পরে বিক্ষোভ তুলে নেয় তারা।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয় রাইপুর সবুজ বাজারে। গড়রাইপুর উচ্চবিদ্যালয়, কৃষ্ণমোহিনী উচ্চবিদ্যালয়, মণ্ডলকুলি হাইস্কুল-সহ আশপাশের এলাকার দেড়শোর বেশি পড়ুয়া পথে নামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রাইপুর থানার পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভদীপ ঘোষ, সুস্মিতা মহাপাত্র, মধুমিতা মহান্তিদের অভিযোগ, ‘‘আমরা কিছু স্কুল শিক্ষকের কাছে টিউশন নিতে যাই। কিন্তু, শিক্ষকেরা এখন পরীক্ষার মুখে আমাদের টিউশন দিতে চাইছেন না। এ নিয়ে শিক্ষকরা মুখ খুলতে না চাইলেও, বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি, কিছু বেকার যুবক যাঁরা টিউশন দেন, তাঁরা নাকি ফোনে শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছেন। সে জন্যই শিক্ষকেরা আর পড়াতে চাইছেন না।’’
ওই পড়ুয়াদের দাবি, তাদের অনুরোধেই ওই শিক্ষকেরা পড়াতে রাজি হয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য, ‘‘সামনেই পরীক্ষা। এই সময়ে টিউশন বন্ধ করে দিলে আমরা কোথায় শিক্ষক পাব? তাই ওই শিক্ষকদের কাছে আমরা যাতে টিউশন নেওয়ার সুযোগ পাই, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে।’’
পুলিশ বুঝিয়ে অবরোধ তোলার পরে পড়ুয়ারা রাইপুরে ব্লক অফিসে গিয়ে অবস্থানে বসে। পরে সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলেন বিডিও (রাইপুর) সঞ্জীব দাস ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার সিংহ। রাজকুমারবাবু বলেন, ‘‘টিউশনের সঙ্গে যুক্ত বেকার যুবক ও স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এরপরেই পড়ুয়ারা অবস্থান তুলে নেয়।
খাতড়া মহকুমার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক অনিমেষ শতপথী বলেন, ‘‘রাইপুরে পড়ুয়ারা আন্দোলন করছেন বলে খবর পেয়েছি। কিন্তু নতুন সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারি কোনও শিক্ষক টিউশন দিতে পারবেন না।’’ রাইপুরে কী ঘটেছে, খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy