মিড ডে মিলের ভাতের গরম মাড়ে পড়ে জখম হল ছ’বছরের এক পড়ুয়া। শুক্রবার দুপুরে ওই কাণ্ড ঘটে মল্লারপুর থানার কানাচি ২ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার পরিজনদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের তিন রাঁধুনির ঠেলায় গরম মাড়-বোঝাই বালতিতে পড়ে যায় শিশুটি। এ নিয়ে মল্লারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও শনিবার সন্ধে পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্কুলের উঠোনে মাড়-বোঝাই বালতি রাখা নিয়ে গাফিলতির কথা মানলেও, পড়ুয়াকে ঠেলে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, জখম শিশুটির নাম সৈয়দ আসমাউল ইসলাম। সে ওই স্কুলে প্রি-প্রাইমারির ছাত্র। দুর্ঘটনার পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে প্রথমে তাকে মল্লারপুরের ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
আসমাউলের দাদু আরিফ আলি জানিয়েছেন, আগের থেকে অনেক ভাল রয়েছে সে। তার পিঠের নিচের দিকে পোড়া দাগ রয়েছে। চামড়া পুড়েছে দু’পায়ের কয়েকটি জায়গায়।
থানায় দায়ের অভিযোগে শিক্ষকদের গাফিলতির কথাও লিখেছেন ওই শিশুর পরিজনেরা। তাঁদের নালিশ, মিড ডে মিল খেতে যাওয়ার পরে কোনও কারণে বিরক্ত হয়ে রাঁধুনিরা আসমাউলকে ঠেলা দেন। টাল সামলাতে না পেরে পিছনে থাকা গরম মাড় থাকা বালতিতে পড়ে যায় সে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল দুপুরে ওই ঘটনার পরে শিশুটির পরিবারের কয়েক জন সদস্য স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শৌভিক মণ্ডলকে ‘মারধর’ করেন। শৌভিকবাবুর দাবি, মিড ডে মিল রান্নার পরে খাবার দেওয়ার সময় পড়ুয়ারা ঠেলাঠেলি করছিল। আচমকা স্কুলের উঠোনে রাখা গরম মাড়ের বালতিতে পড়ে যায় আসমাউল। স্কুলের শিক্ষকেরাই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পরিবারের লোকেরা কিছু না জেনেই তাঁর উপরে চড়াও হন। তবে তিনি বলেন, ‘‘রাঁধুনিদের ওই মাড় ফেলে দেওয়া উচিত ছিল। তাতে এমন বিপত্তি হত না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy