ভোজন: মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুল। নিজস্ব চিত্র
রোজ কি আর ভাত বা খিচুড়ি ভাল লাগে! বিশেষ করে যখন শীতও এসে গিয়েছে। স্কুলের মাস্টারমশাই-দিদিমণিদের কাছে তাই মিড-ডে মিলে পিঠে খাওয়ার আবদার জানিয়েছিল স্কুলের খুদেরা। ছোট ছোট মুখের সেই বায়না ফেলতে পারেননি তাঁরা। তবে পিঠে নয়, শুক্রবার মিড-ডে মিলে পাতে পড়ল দু’টো করে মশলা ইডলি আর একটা করে মালপোয়া ও জিলিপি। মানবাজার ১ চক্রের গোবিন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। পড়ুয়ারাও মহাখুশি। দু’মিনিটে সাফ হল প্লেট।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মৌমিতা সরকার (সেন), সুপ্রিয়া মহান্তিরা জানান, দিন কয়েক আগে কিছু পড়ুয়া পড়া বোঝার পরেও দাঁড়িয়েছিল। কারণ জিজ্ঞাসা করায় দুই পড়ুয়া পিঠে খাওয়ার কথা জানায়। তার পরেই এই আয়োজন। প্রধান শিক্ষক অমিতাভবাবুও জানান, পড়ুয়ারা মুখ ফুটে এমন কথা বলায় ভাল লেগেছে।
তবে পড়ুয়াদের আবদার মেটাতে শুরুতে মুশকিলে পড়েছিলেন স্কুলের রাঁধুনি সখী হাঁসদা, বুনি হাঁসদারা। তাঁরা জানান, মাস্টারমশাই যখন বললেন পড়ুয়াদের পিঠে তৈরি করে খাওয়াতে হবে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে পিঠে হলেও তার ধরন আলাদা। শেষে স্থানীয় এক ইডলি প্রস্তুতকারীর কাছে শিখে ওটাই পড়ুয়াদের খাওয়ানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
মানবাজার ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নন্দদুলাল সিংহও উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘শুধু পড়াশোনা নয়। পড়ুয়াদের সমস্ত ধরনের চাহিদার দিকে নজর দেওয়া উচিত। এতে ওঁরাও বুঝবে মাস্টারমশাইরা তাঁদের কথা ভাবেন।’’
আর যাঁদের জন্য এই আয়োজন, তাঁরা কী বলছে? চতুর্থ শ্রেণির বেহুলা মাঝি, মণিকা হাঁসদা, তৃতীয় শ্রেণির সোমনাথ পাল, অর্পিতা মুর্মুরা হাসি মুখে জানাল, ইডলি, মালপোয়া আর গরম জিলিপিতে একেবারে জমে গিয়েছে আজকের খাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy