সিন্দরির কর্মীসভায়। নিজস্ব চিত্র
কে বাড়ি পাবেন, সেটা নেতারা ঠিক করবেন না। মানুষ ঠিক করে নেতাদের জানাবেন। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বরাবাজারের সিন্দরিতে কর্মিসভায় এসে এমন নিদান দিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘২০১৯-এর নির্বাচন ঘটনা নয়, দুর্ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জঙ্গলমহলে ছুটে এসেছেন। কিন্তু আশামতো ফল হয়নি। ভুল সংশোধন করে এগোতে চাইছি।’’ বরাবাজার যে লোকসভা কেন্দ্রে পড়ে, সেই ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা সোরেন দলীয় কর্মীরা আরও সক্রিয় হলে জিততেন বলে দাবি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দুর।
আবাস যোজনায় পক্ষপাতের অভিযোগ বিচ্ছিন্ন ভাবে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীদের একাংশ। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ বসে যদি যাঁর বাড়ির সব থেকে বেশি প্রয়োজন, তাঁর নাম আমাদের দিতে পারেন তার থেকে ভাল কিছু হয় না। আমরা মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে পারব।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘উপরতলার নেতারা নিচুতলার কর্মীদের বিশ্বাস করছেন না। এ বার পরস্পরকে দোষারোপ করার পালা শুরু হয়েছে।’’
পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন স্কুলে সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়া থাকলেও শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন সরব। এ দিনের সভায় শুভেন্দু জানান, জঙ্গলমহল এলাকায় ২৯০ জন সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত সামন্ত জানিয়েছেন, সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগে থেকেই চলছে। এ দিনের সভায় শুভেন্দু অভিযোগ করেন, বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বলেন, ‘‘আপনারা মানুষকে ঠিকঠাক বোঝাতে পারেননি। কন্যাশ্রী চালু হয়েছে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের এক বছর আগে। লোকশিল্পীদের ভাতা, স্কুলে ব্যাগ বা জুতো দেওয়ার মতো কোনও প্রকল্প কেন্দ্রের নেই। রাজ্য সরকার করেছে।’’
বরাবাজারে এটি ছিল শুভেন্দুর দ্বিতীয় সভা। তিনি বলেন, ‘‘২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে এসে সিপিএমকে হটানোর ডাক দিয়েছিলাম। এ বার বলছি, বিজেপিকে হটিয়ে দিন।’’ এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, মানবাজারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সোরেন, কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy