পুরপ্রধানের কাছে ক্ষোভ জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে তোলা নিজস্ব চিত্র।
‘সকলের জন্যে বাড়ি’ প্রকল্পে তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে ঠিকাদার রাজ কায়েমের অভিযোগ তুলে ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় অবস্থান বিক্ষোভ করল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সকালে পুরসভা চত্বরে প্রকল্পের উপভোক্তা-সহ শতাধিক বিজেপি কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভেও সামিল হন। পরে দ্রুত প্রতিকারের আর্জিতে পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেন বিজেপি-র রামপুরহাট মণ্ডল কমিটি। বিজেপি-র জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় সিন্ডিকেট-রাজ চলছে। প্রশাসন সব দেখেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’
কেমন?
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরসভা কর্তৃপক্ষ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ঠিকাদারদের নিয়োগ করেছে। তাদের দিয়েই সকলের জন্যে বাড়ি প্রকল্পে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। দলের রামপুরহাট মণ্ডল কমিটির সভাপতি শান্তনু মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘উপভোক্তাদের তালিকা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টাঙানো হয়নি। তাতে প্রমাণ যে গোটা ঘটনায় অস্বচ্ছতা রয়েছে।’’ এক ধাপ এগিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলীয় কর্মীদের প্রাধান্য দিয়ে ঘর তৈরি করা হচ্ছে।’’ জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণবাবুর কথায়, ‘‘নিয়ম হল, পুরসভা উপভোক্তার গৃহ তৈরি করে দেবে। মাঝখানে কোনও ঠিকাদার থাকবে না। অথচ পুরসভা ঠিকাদার দিয়েই কাজ চালাচ্ছে। গোটা ঘটনাটা সিন্ডিকেট-রাজ ছাড়া আর কিছু নয়।’’
এ দিনের বিক্ষোভে সামিল হওয়া অনেকের অভিযোগ, ঠিকাদাররা জোর করে উপভোক্তাদের কাছ থেকে পাশবই এবং ফাঁকা চেক বই-এ সই করিয়ে নিচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলে ঘর করে দেওয়া হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ অর্থের চেয়ে কম টাকায় ঘর করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অনেকের অভিযোগ। পুরপ্রধান অশ্বিনি তিওয়ারী বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হাউস ফর অল প্রকল্পে কোনও দরপত্র ডাকা হয়নি। পুরসভা কোনও ঠিকাদারকেও নিয়োগ করেনি। কাজটি দেখভাল করছে পুর দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ।’’ চেক সইয়ের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন।
এ দিকে পুরপ্রধানের দাবি ঠিক নয় বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সতর্ক হলে ভাল, নইলে কেন্দ্রীয় স্তরে অভিযোগ জানান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy