সিউড়িতে চলছে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকার আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা হবে। এবং কয়লা তোলার বরাত পাওয়া ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) একটি কার্যালয় খুলবে। লোবায় প্রস্তাবিত খাগড়া-জয়দেব খোলামুখ কয়লাখনি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের নির্যাস এটাই। এ দিন জমির দাম কিংবা ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তা হতে পারে সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে তেমনটাই।
দুবরাজপুরের লোবায় প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে সিউড়িতে মঙ্গলবার বিকেলে ওই বৈঠক হয়। ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান তথা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুষ্ঠু ভাবে কয়লাখনি গড়ে তোলার কাজ দেখভালের জন্য একটি কমিটিও গড়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, কোথাও শিল্প হতে গেলে সামাজিক সমীক্ষার প্রয়োজন। এক্ষেত্রেও হবে। সমীক্ষার কাজে ডিভিসিকে সাহায্য করবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ডিভিসির কার্যালয়ের ব্যাপারেও সকলেই সম্মতি দিয়েছেন বলে দাবি সভাধিপতির।
জমির উপযুক্ত দাম, ক্ষতিপূরণের দাবিতে লোবায় কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনের জেরে ২০১২ সালে থমকে গিয়েছিল প্রস্তাবিত কয়লা খনি গড়ার কাজ। আপত্তি তোলা হয়েছিল জমি কেনার পদ্ধতি ঘিরেও। এলাকার প্রস্তাবিত ৩০০০ একরের কিছু জমির মধ্যে প্রায় ৭০০ একর জমি কিনলেও কাজ থেকে পুরোপুরি হাত গুটিয়ে নিয়েছিল পিপিপি ভিত্তিতে গড়া ডিভিসি-এমটা প্রকল্প। পরে সুপ্রিম কোর্ট যে ক’টি কোলব্লক বণ্টন অবৈধ ঘোষণা করে সেই তালিকায় ছিল লোবায় খাগড়া জয়দেব প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লাখনি। পরে ফের মাটির নীচে কয়লা তোলার বরাত পায় দামোদর ভ্যালি করপোরেশন।
ঠিক কোন পথে এগোলে সুষ্ঠু ভাবে এগোনো যায়, সেটা ঠিক করতেই এ দিন বৈঠক হয়। সেখানে ডিভিসির আধিকারিকরা ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার), দুবরাজপুরের বিডিও, ওসি, বিএলআরও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।
এলাকার চাষি, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সদস্য, জন প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy