কোনওটি আধভাঙা, আবার কোনওটি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সেতুর সংস্কার কিংবা পুননির্মাণ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হতে টনক নড়ল প্রশাসনের। একই সঙ্গে তিনটি সেতু তৈরির শুরু হতে চলেছে। লাভপুরের বিডিও জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সেতু তিনটি পুনঃনির্মাণের জন্য সেচ দফতর ৯৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। দ্রুত ওই সেতুগুলির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাভপুর থানা এলাকায় লাভপুর-গুনুটিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ওই সড়কের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে সাঁইথিয়া, কান্দি এবং বোলপুরের মতো আরও কিছু রাস্তা। সেই সুবাদে ওই সড়কে চলাচল করে বহু বাস, বালিবোঝাই ট্রাক-সহ সমস্ত রকম যানবাহন। কিন্তু, ওই সড়কের শ্যাওড়াগড়ে সেচ খালের উপরের সেতুটি বছর দু’য়েক আগে ভেঙে পড়ে। প্রশাসন সেতু পুনঃনির্মাণের বদলে পাশেই হিউম পাইপের একটি অস্থায়ী সেতু গড়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এত দিন জোড়াতালি দিয়ে চলছিল এ ভাবেই।
বহু দিন ভগ্নপ্রায় ছিল ওই সড়কের বাবলাডাঙা মোড় লাগোয়া কাঁদরের উপর নির্মিত সেতুটিও। একই সড়কের বাকুল গ্রাম লাগোয়া সেচখালের বিপজ্জনক বাঁকের উপর নির্মিত সঙ্কীর্ণ পরিসরের সেতুটিও কার্যত মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার সেতুগুলি পুনঃনির্মাণের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হয়।
শেষমেষ সেতু সংস্কারের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসূত্রে প্রতিদিনই লাভপুরে যেতে হয় দাঁড়কার সুপ্রভাত দাসকে। ওই রুটে বাস চালান আকুপুরের ওসমান আলি। তাঁরা বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও কাজটা এ বার শুরু হবে ভেবেই ভাল লাগছে। আমাদের অনেক সমস্যা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy