Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাদ পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী

পুরভোট শুরুর আগেই শাসকদলের এক জন প্রার্থী কমে গেল পুরুলিয়া পুরসভায়! স্ক্রুটিনির সময় বাতিল হয়ে গেল ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:২০
Share: Save:

পুরভোট শুরুর আগেই শাসকদলের এক জন প্রার্থী কমে গেল পুরুলিয়া পুরসভায়! স্ক্রুটিনির সময় বাতিল হয়ে গেল ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন।

বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন। এ দিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী দীপক কর্মকার পুরসভার ঠিকাদার। বিধি মোতাবেক তিনি নিবার্চনে লড়তে পারেন না। কেন? জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “দীপক কর্মকার কিছুদিন আগে পুরসভা এলাকার একটি পুকুর সংস্কারের কাজ করেছিলেন। সেই কাজের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের বিভাস দাস বলেন, “বিধি অনুযায়ী, পুরসভার কোনও ঠিকাদারের যদি তাঁর কাজের ‘ক্লিয়ারেন্স’ না থাকে, তিনি ভোটে লড়তে পারেন না। স্বাভাবিক কারণেই ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।”

ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলকে ঘিরে এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরে দিনভর উত্তেজনা ছিল। শেষমেষ বিকেল নাগাদ জানা যায়, তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলই হয়েছে। পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিত দেবনাথ বলেন, “ওই প্রার্থী পুরসভায় একটি কাজ করেছিলেন। সেই কাজের প্রেক্ষিতে পুরভোটে লড়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। দেখা গিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। বিধি মোতাবেকই তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে।”

তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থী দীপক কর্মকার পুরসভার ঠিকাদার বলে স্বীকার করা হয়েছে। তবে, মনোনয়ন বাতিলের পিছনে পুরুলিয়ার বিদায়ী পুরপ্রধান (সদ্য তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া) তারকেশ চট্টোপাধ্যায়কেই পরোক্ষে বিঁধছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের নেতা নবেন্দু মাহালি বলেন, “যেহেতু আমাদের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পুরসভারই কাজ করেছেন এবং টাকারয়সা সংক্রান্ত ছাড়পত্র এখনও হাতে পাননি, সেই কারণেই তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ফলে আমরা ওই ওয়ার্ডে লড়তে পারছি না।”

এই সূত্রেই তাঁর অভিযোগ, “গতবার ওই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হয়েছিলেন তারকেশবাবু। তিনি তো জানতেন যে, দীপকবাবুর কাজের টাকাপয়সা সংক্রান্ত ছাড়পত্র এখনও নেই। তবু তিনি সেই বিষয়টি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছেন। আর এখন তো তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে!”

যদিও তারকেশবাবুর বক্তব্য, “আমি তো ওই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিইনি! তা ছাড়া, মনোনয়নের বিষয়ে দল আমার সঙ্গে কোনও আলোচনাও করেনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সব পুরসভার ক্ষেত্রেই পুরপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।” তাঁর আরও দাবি, তিনি নিজে মাসখানেক পুরসভায় যাননি। ফলে, কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE