Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উৎসব নিয়ে ‘কোন্দল’ শাসকদলে

ঝালদা শহরে প্রকাশ্যে এল শাসকদলের ‘কোন্দল’। উপলক্ষ— যুবকল্যাণ দফতর আয়োজিত একাধিক উৎসবের দায়িত্ববণ্টন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

ঝালদা শহরে প্রকাশ্যে এল শাসকদলের ‘কোন্দল’। উপলক্ষ— যুবকল্যাণ দফতর আয়োজিত একাধিক উৎসবের দায়িত্ববণ্টন।

ঝালদা শহরে গত ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ছাত্র যুব’ উৎসব। ১২ জানুয়ারি পালিত হয়েছে ‘বিবেক চেতনা উৎসব’। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহরে ‘সুভাষ জয়ন্তী’ হওয়ার কথা। এই তিন উৎসব পরিচালনার জন্য ঝালদার পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারকে সভাপতি এবং মহকুমাশাসক সুশান্ত ভক্তকে সহ-সভাপতি করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষদিকে গঠিত ওই কমিটিতে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর প্রতিনিধি হিসাবে রাখা হয়েছিল ঝালদা শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যাম চন্দ্রকে।

বৃহস্পতিবার তৃণমূল সূত্রে খরব পরাওয়া গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি ছাত্র-যুব উৎসবের দিনই মন্ত্রীর দুই প্রতিনিধি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। পুরপ্রধান তাঁদের উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই দুই নেতা। তাঁরা পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মহকুমাশাসক, সংশ্লিষ্ট যুবকল্যাণ আধিকারিক এবং শান্তিরামের কাছে। শান্তিরাম এই বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য করলেও পদত্যাগীদের বিরুদ্ধে পুরপ্রধান পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন।

স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণে, পুরপ্রধানের বিরোধীগোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত সুব্রত এবং শ্যাম। এর আগেও ঝালদায় একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছিল শাসকদলের কোন্দল।

সুব্রত এবং শ্যাম জানিয়েছেন, গত ৪ জানুয়ারি উৎসব কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সুব্রতর কথায়, ‘‘আমাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। পুরপ্রধান আমাদের কোনও দায়িত্বই দিতে রাজি ছিলেন না।’’ শ্যামের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কমিটির সদস্য হলেও আমরা কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসেছিলাম। পুরপ্রধান সব দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠদের।’’ গত ১০ জানুয়ারি মহকুমাশাসক, যুবকল্যাণ আধকারিক এবং মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা।

কী বলছেন প্রদীপ?

তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওরা উৎসবের সব দায়িত্ব (পুরপ্রধানের কথায় ‘গোটা সিস্টেম’) নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি সভাপতি হিসাবে তা হতে দিতে পারি না।’’ পদত্যাগ সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওরা পদত্যাগ করেছে কিনা তা জানি না। করলে কেন করেছে, তাও জানা নেই।’’

দুই নেতার পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলের একাংশ জানতে চেয়েছেন, ৪ জানুয়ারি বৈঠক হলেও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা প্রায় এক সপ্তাহ দেরি কেন করলেন। শ্যামের উত্তর, ‘‘আমরা ছাত্র-যুব উৎসব পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। আশা করেছিলাম আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্র-যুব উৎসবের আমন্ত্রণপত্রও আমাদের দেওয়া হয়নি। সেই কারণে উৎসবের দিনই আমরা পদত্যাগ করি।’’

মহকুমাশাসক ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। শান্তিরামের সাবধানী প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE