Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
TMC

দলের চিঠির জবাব দিলেন নেতারা

সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে শুভাশিসবাবু জানিয়েছিলেন, তিন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৬
Share: Save:

‘শো-কজ়’-এর জবাব দলকে দিলেন বাঁকুড়ার তিন তৃণমূল নেতা। করোনা-পরিস্থিতিতে দলীয় ত্রাণ বিলি ও অন্য কিছু বিষয়ে অভিযোগ উঠেছিল দলের বিষ্ণুপুর ব্লক সভাপতি শ্যাম মুখোপাধ্যায়, পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ ও তালড্যাংরা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তাপস সুরের বিরুদ্ধে। বুধবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাসিস বটব্যাল বলেন “তিন নেতাই মুখবন্ধ খামে শো-কজ়ের উত্তর দিয়েছেন। সে উত্তর আমরা রাজ্যে পাঠাব। রাজ্য নেতৃত্ব পরবর্তী যা পদক্ষেপ করতে বলবেন, তা-ই হবে।”

সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে শুভাশিসবাবু জানিয়েছিলেন, ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যের নির্দেশেই ‘শো-কজ়’ করা হয়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলীয় ত্রাণ ছেলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে বিলি করার। পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ বালি-পাচারে অভিযুক্ত ট্রাকচালককে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে ‘প্রভাব খাটানো’ ও রেশন ব্যবস্থায় ‘হস্তক্ষেপ’ করার। তাপসবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলীয় ত্রাণ না বিলি করার।

অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিন নেতাই। শ্যামবাবু এ দিন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। দলকে লিখিত ভাবে যা বলার বলেছি।” পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “শো-কজ়ের উত্তর দিয়েছি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেব।” তাপস বলেন, “দলকে লিখিত ভাবে যা জানানোর জানিয়েছি। দলের প্রতি আমার আস্থা যেমন ছিল, তেমনই আছে।”

বিধানসভা ভোটের আগে দলের নিচুতলায় দুর্নীতি রোধেও বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। শুভাশিসবাবু বলেন, “একশো দিনের কাজে ভুয়ো শ্রমিকের নামে যাতে টাকা না ওঠে, সে দিকে পঞ্চায়েতগুলিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছি। এটাও বলেছি, যাতে দলের নেতাদের আত্মীয়েরা একশো দিনের কাজে সুপারভাইজ়ারের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকেন।’’ সরকারি আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে কড়া নজর রাখার নির্দেশ পঞ্চায়েতগুলির প্রধানদের দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘এমন অভিযোগ উঠলে অভিযুক্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।”

তৃণমূলের এই সব পদক্ষেপকে ‘সাধারণ মানুষের চোখকে ধুলো দেওয়ার অছিলা’ বলেই কটাক্ষ করছেন বিজেপির রাজ্য নেতা তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “মানুষ বুঝে গিয়েছেন, নেতারা যতই বলুন আদপে কিছু হবে না। তৃণমূল জানে, দুর্নীতি হচ্ছে। আর বিধানসভা ভোটে তার পরিণামও ভোগ করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE