প্রতিবাদ: জেলা শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়ার জয়পুরের পরে এ বার পুরুলিয়া। প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির প্রতিবাদে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামলেন তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’-র জেলা নেতৃত্ব।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুরুলিয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের বাইরে ব্যানার টাঙিয়ে, মাইক বেঁধে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। পুরুলিয়া শহর তো বটেই, ওই শিক্ষক সংগঠনের জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় নেতৃত্ব অবস্থানে যোগ দেন।
তাঁদের ওই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির কিছু নেতাও। সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি, যুব নেতা গৌতম রায়, দলের সহ-সভাপতি নরেন চক্রবর্তী প্রমুখ।
ইতিমধ্যে বদলির নির্দেশ পেয়ে শিক্ষকেরা স্কুলগুলিতে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে, অতিরিক্ত শিক্ষক কমাতে গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি দু’টি স্কুল শিক্ষক-শূন্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি ওই শিক্ষক সংগঠন।
এ দিন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা তাঁদের বক্তব্য দাবি করেন, বদলির তালিকা ভুলে ভরা। সংগঠনের জেলা সভাপতি বিমলকান্ত মাহাতোর অভিযোগ, অতিরিক্ত শিক্ষকদের কম শিক্ষক থাকা স্কুলে বদলির নামে যা নির্দেশ এসেছে, তা ভুলে ভরা। এতে এমনও হয়েছে, কয়েকটি স্কুল শিক্ষক-শূন্য হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলে বদলির জেরে এক জন মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। আবার উর্দু, অলচিকির শিক্ষকদের তুলে বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষককে আবার উর্দু বা অলচিকি স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
তাঁর দাবি, ‘‘জেলায় যে ৪৬৩ জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে, তা পুনরায় খতিয়ে দেখতে হবে।’’
তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে নবেন্দু মাহালি অভিযোগ করেন, ‘‘বিরোধী মনোভাবাপন্ন কিছু সরকারি আধিকারিক ও কর্মী শিক্ষক সংগঠনকে দুর্বল করার জন্য পরিকল্পনা করে ভুলে ভরা বদলির তালিকা তৈরি করেছেন। ওই অসাধুচক্রকে ভাঙতে হবে। আমরা পুরো বিষয়টি দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব।’’
মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, পুরুলিয়ার ভৌগোলিক চিত্র না জেনেই ওই বদলির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে এ দিন তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের (প্রাইমারি) অলক মহাপাত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলের জেলা সভাপতিকেও তিনি বিষয়টি জানাবেন।
জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পরে শিক্ষক সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপি তুলে দেন। স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘‘তাঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy