Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
tmc

দিদির ডাকে পুরনোদের আহ্বান শুরু

মানিকবাবু জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি তৃণমূলের প্রচারে ছিলেন। তারপরেই রাজনীতি থেকে সরে যান।

মানিক মিত্রের বাড়িতে জেলা তৃণমূল সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

মানিক মিত্রের বাড়িতে জেলা তৃণমূল সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১৯
Share: Save:

লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে পুরনো তৃণমূল কর্মীদের দলে ফেরাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দু’দিনের বাঁকুড়া সফরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সে কথা মনে করিয়ে দিতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলে। নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার খাতড়ায় গিয়ে পুরনো দিনের নেতা মানিক মিত্রের সঙ্গে দেখা করে ফের তাঁকে দলে সক্রিয় হতে অনুরোধ জানালেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল।

দলের পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কর্মিসভা থেকে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে জঙ্গলমহলের খোঁজখবর নেওয়ার সময় খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত মিত্রের কাছে প্রবীণ তৃণমূল নেতা মানিকবাবুর খোঁজ নেন মমতা। সেখানেই তিনি জয়ন্তবাবুকে নির্দেশ দেন, মানিকবাবুকে ফের দলের কাজে নামাতে হবে।

দলীয় সূত্রে খবর, খাতড়া শহরের বাসিন্দা জয়ন্তবাবু এক দলীয় কর্মীকে মানিকবাবুর বাড়িতে পাঠিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা দেন। তিনি নিজেও মানিকবাবুর সঙ্গে ফোনে এ নিয়ে কথা বলেন। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাসরি মানিকবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। দু’জনেই দলের পুরনো দিনের কর্মী। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। পরে শুভাশিসবাবু বলেন, “মানিকদা আমাদের দলের অনেক পুরনো দিনের কর্মী। বহু বছর তিনি দলের জেলা সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। মাঝে কিছু কারণে দল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দিদি তাঁকে চেয়েছেন। তাই তাঁকে আবার সক্রিয় ভাবে নামতে বলেছি।’’

ফোনে কথা বলতে গিয়ে ষাটোর্ধ্ব মানিকবাবুর গলায় কিছুটা আক্ষেপ ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দিদির সঙ্গে ছিলাম। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে জঙ্গলমহলে শক্ত সংগঠন গড়েছিলাম। রাজ্যে পালাবদলের পরে দলে সাংগঠনিক কিছু বদল হয়। তখন থেকেই সংগঠনের কাজকর্মে আমার গুরুত্ব কমতে থাকে।”

মানিকবাবু জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি তৃণমূলের প্রচারে ছিলেন। তারপরেই রাজনীতি থেকে সরে যান। তিনি বলেন, “এক দিকে দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলাম না বলে অভিমান ছিলই। পাশাপাশি পারিবারিক নানা সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। তাই রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম।” তবে দলনেত্রী তাঁকে আবার সক্রিয় ভাবে চাওয়ায় অভিমান মুছে গিয়েছে। তিনি বলেন, “দিদি যখন ডেকেছেন, তখন আবার নামব। এখন দলের পরিবেশও বদলাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তাই পুরনো কর্মীদের আবার সক্রিয় হতে

উজ্জীবিত করব।”

জঙ্গলমহলে অনেক কাজ করেও কেন মানুষের ক্ষোভ, তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বার বার জানতে চেয়েছিলেন মমতা। ওই এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে সংগঠন ছড়াতেও তিনি নির্দেশ দেন। সে জন্য আদিবাসী ছেলেমেয়েদের দলে টানতে বলেন।

শুভাশিসবাবু বলেন, “রানিবাঁধ-সহ সারা জঙ্গলমহলে আমি নিজে গিয়ে তরুণ প্রজন্মের আদিবাসী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের দলের দায়িত্বও দেব। সেই সঙ্গে ওই এলাকার পুরনো কর্মীদেরও সক্রিয় করতে চেষ্টা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Mamata Banerjee TMC Leaders Manik Mitra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE