Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
মাচানতলায় পার্কিং

আজ থেকেই সুভাষ রোডে গাড়িতে রাশ

আজ, শনিবার থেকেই যানজট এড়াতে সুভাষরোডে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাঁকুড়ার উপপুরপ্রধান দিলীপ অগ্রবালের সঙ্গে বৈঠক করে বাঁকুড়া পুলিশ।

গিঁট: মোটরবাইক আর রিকশার ফাঁক গলে চলেছেন পথচারী। বাঁকুড়ার সুভাষরোডে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

গিঁট: মোটরবাইক আর রিকশার ফাঁক গলে চলেছেন পথচারী। বাঁকুড়ার সুভাষরোডে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৩
Share: Save:

একেই সঙ্কীর্ণ রাস্তা। তার উপরে আবার জবরদখল। যানবাহন রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গাও নেই। রাস্তার উপরেই মোটরবাইক, সাইকেল রেখে দোকানে ঢোকেন অনেকে। সব মিলিয়ে বছরভর যানজট লেগেই থাকে বাঁকুড়া শহরের সুভাষরোডে। পুজোর সময় সমস্যাটা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই যানবাহন রাখার নির্দিষ্ট জায়গা বানিয়ে দেওয়া আর ভিড়ের সময়ে সুভাষরোডে যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলে আসছিলেন শহরের বাসিন্দারা। এ বার সেই পদক্ষেপই করল পুলিশ ও প্রশাসন।

আজ, শনিবার থেকেই যানজট এড়াতে সুভাষরোডে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাঁকুড়ার উপপুরপ্রধান দিলীপ অগ্রবালের সঙ্গে বৈঠক করে বাঁকুড়া পুলিশ। বাঁকুড়া পুলিশের ট্রাফিক অফিসে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শ্যামল সামন্ত, বাঁকুড়া সদর থানার আইসি রাজর্ষি দত্ত, বাঁকুড়ার আইসি (ট্র্যাফিক) সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সুভাষরোডে যানজট এড়াতে একমুখী যানবাহন চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হবে। যার ফলে মাচানতলা দিক থেকে কোনও গাড়ি সুভাষরোডে ঢুকতে পারবে না। পুরসভার তরফে তিনটি পার্কিং প্লেস করে দেওয়া হচ্ছে মাচানতলা সংলগ্ন এলাকায়। দিলীপবাবু বলেন, “বঙ্গবিদ্যালয়ের মাঠে, পোস্ট অফিসের বিপরীতে ও পুরসভা সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং প্লেস গড়া হয়েছে। সেখানেই মোটরবাইক, সাইকেল বা গাড়ি রেখে সুভাষরোডের বাজারে কেনাকাটা করতে যেতে পারেন মানুষজন।”

পুলিশ জানিয়েছে, লালবাজারের দিক থেকে আসা কোনও গাড়ি রানিগঞ্জ মোড়ের পরে সুভাষরোডে যেতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক নিয়ে অবশ্য রানিগঞ্জ মোড়ের দিক থেকে সুভাষরোড দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। তবে কোনও যানবাহন রাস্তার পাশে রাখা যাবে না। কারণ পুজো পর্যন্ত পুলিশ সুভাষরোড এলাকাটিকে ‘নো-পার্কিং জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা অরিন্দম প্রধান, বাপন ঘোষেরা বলেন, “শহরের মূল বাজার সুভাষরোডের উপরে। অথচ এই বাজারে কোনও পরিকাঠামো নেই। কেনাকাটি করতে এসে যানজটে নাকাল হই। মোটরসাইকেল বাজারের বাইরে সুরক্ষিত ভাবে রাখার কোনও জায়গা ছিল না।” পুরসভার পার্কিং প্লেস চালু হলে ক্রেতাদের সমস্যা অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করছেন অনেকে। এ দিন সুভাষরোড বাজার পরিদর্শন করতে গিয়ে উপপুরপ্রধান দিলীপবাবুর নজরে আসে রাস্তা দখল করে মালপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিছু ব্যবসায়ী। সুভাষরোডে ফুটপাত গড়া হচ্ছে। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে। দিলীপবাবু বলেন, “রাস্তা জবরদখল করে ব্যবসা করার জন্যই মূলত এই এলাকায় যানজট হচ্ছে। শীঘ্রই এই ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেব আমরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bankura Traffic Control
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE