যতই প্রচার চলুক ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর বার্তা যে কারও কানে ঢুকছে না, ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল।
মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাটে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই মোটরবাইক আরোহী যুবকের। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন সমীরউদ্দিন খান (৩০) এবং ফিরোজ খান (৪০)। বাড়ি ময়ূরেশ্বর থানার তালোয়া গ্রামে। দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মোটরবাইকের চালক নজরুল খান। তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের নজরদারিও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর কর্মসূচির সময়টুকু বাদে বাকি সময় তৎপরতা দেখা যায় না পুলিশকে। জেলার পথে তাই বিনা বাধায় ঘুরে বেড়ান হেলমেটহীন বাইক চালকেরা।
এ দিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ–মোরগ্রাম জাতীয় সড়কে রামপুরহাট শহরের ভিতরে লোটাস প্রেস ও বামনিগ্রাম মোড়ের মাঝে। তালোয়া গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রি সমীরউদ্দিন শেখের আত্মীয় মুজিবর শেখ জানান, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ তালোয়া গ্রাম থেকে তিন বন্ধু মিলে ওই মোটরবাইকে চেপে নলহাটির নতুনগ্রামে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, তিন আরোহীকে নিয়ে মোটরবাইকটি সামনে থাকা একটি ট্রেলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছিল। সামনে সাইকেল এসে যাওয়ায় ব্রেক কষেন মোটরবাইক চালক। তার পরেই পিছনে বসে থাকা দুই আরোহী মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেলারের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে সমীর এবং ফিরোজ ঘটনাস্থলে মারা যান। বেঁচে যাওয়া মোটরবাইক চালক, পেশায় রাজমিস্ত্রি নজরুল বলছেন, ‘‘সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই এত বড় অঘটন ঘটে গেল।’’
জেলার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার অবশ্য জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানো কিংবা বেপরোয়া ড্রাইভিং নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হলেও এখনও আরও সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আরও বেশি জোর দেওয়া হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে পরিবারের লোকেদেরও সচেতন হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy