দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে মৃত্যু হল দু’জনের। বাঁকুড়া সদর থানার শালুকা ও নবান্দা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের মধ্যে মুহুর রায় (৫৫) নবান্দা এবং রবিলোচন চৌধুরী (৪২) শালুকা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুহুরদেবী স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। একটি মোটরবাইক তীব্র গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।
অন্য দিকে শনিবার সকালে শালুকা গ্রামে রবিলোচনবাবুকে ধাক্কা মেরেছিল একটি পাথর বোঝাই ট্রাক। রবিলোচনবাবু সেই সময় সাইকেল চালাচ্ছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ মোটরবাইক ও ট্রাকটি আটক করেছে। চালক পলাতক। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় মাকুড়গ্রামের বাসিন্দা অমৃত পাল ও সিদ্ধার্থ সিংহদের ক্ষোভ, “বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাস্তায় একাধিক বাঁক রয়েছে। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার কোনও ব্যবস্থাও নেই। ফলে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে এ বার ভাবা উচিত।” দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ দিনই পুরুলিয়ায় মোটরবাইক দুর্ঘটনায় এক যুবক মারা গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নিবারণ মাহাতো (৩৫)। তিনি ঝাড়খণ্ডের সিল্লি এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাঘমুণ্ডি-ঝালদা রাস্তায় বাঘমুণ্ডির রেলা গ্রামের অদূরে। নিবারণ ও আরও দু’জন একটি মোটরবাইকে চেপে বাঘমুণ্ডির দিক থেকে ঝালদার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইক রাস্তার পাশে ছিটকে পড়লে তিন জনেই আহত হন। পাথরডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে নিবারণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্য দুই আরোহী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার পুরুলিয়ায় বিয়ে বাড়ি সেরে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে এ দিন দেখা করেন গেলেন বলরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ণ পর্ষদ উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। পুরুলিয়া মফস্সল থানার বিড়গিড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি গাড়িতে করে বলরামপুরে ফিরছিলেন ১১ জন বরযাত্রী। এক জন ছাড়া গাড়ির আরোহীদের সকলেরই বাড়ি বলরামপুরে। শুক্রবার ভোররাতে বলরামপুরের দিকে ফেরার পথে পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে মফস্সল থানা এলাকার কাড়ামারার কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারকে পিছন থেকে ধাক্কা মারলে বরযাত্রীর গাড়িটির ছ’জনের মৃত্যু হয়। শনিবার বিকেলে মৃতদের বাড়িতে পরিজনদের গিয়ে সান্ত্বনা দেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা ও সতর্কতা খুব জরুরি। আমি এখানকার বিধায়ক তাই দেখা করতে এসেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy