Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দরবার করেও নালা পাকা না হওয়ায় ক্ষোভ বিষ্ণুপুরে

বেহাল হয়ে রয়েছে নিকাশি নালা। সেই নালার উপরেই খসে পড়ছে পাশের রাস্তার মাটি। তাই বাসিন্দারা পাকা নালার দাবি তুলছে‌ন। কিন্তু তা আজও না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বিষ্ণুপুর শহরের সার্কাস ময়দান এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

খোলা নালা। বিষ্ণুপুরের সার্কাস ময়দান এলাকায়।—নিজস্ব চিত্র।

খোলা নালা। বিষ্ণুপুরের সার্কাস ময়দান এলাকায়।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০০
Share: Save:

বেহাল হয়ে রয়েছে নিকাশি নালা। সেই নালার উপরেই খসে পড়ছে পাশের রাস্তার মাটি। তাই বাসিন্দারা পাকা নালার দাবি তুলছে‌ন। কিন্তু তা আজও না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বিষ্ণুপুর শহরের সার্কাস ময়দান এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

বিষ্ণুপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সার্কাস ময়দানে প্রায় ২০০টি পরিবার বসবাস করেন। শহরের অন্যতম বড় নিকাশি নালা গিয়েছে এই মহল্লার মধ্যে দিয়েই। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ক্রমশ যাতায়াতের সঙ্কীর্ণ পথ ভেঙে যাচ্ছে নালায়। তাই পথ চলতেও বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, ওই নালা পাকা করে চাপা দেওয়া গেলে রাস্তাও চওড়া হয়ে যাবে। তাঁদের অভিযোগ, পুরকর্তৃপক্ষ এই রাস্তা ও নিকাশি নালা নিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জেনেও নিশ্চুপ হয়ে রয়েছেন।

এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা দেবিদাস অধিকারী বলেন, ‘‘নালা সাফসুতরো ও পাকার করার জন্য বহুবার পুরসভায় গণসাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। পুরসভার কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।’’ ওই নালার পাশেই প্রদীপ বর্মণের বাড়ি। তিনি বলেন, ‘‘একটু বৃষ্টি হলেই নোংরা জল নালা উপচে ঘরে ঢুকে আসে। রাস্তাও তখন খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকে তো হাঁটাচলা করতে গিয়ে ভুল করে রাস্তার পাশে নালাতেও পড়ে যান। পুরএলাকায় আমরা বাস করি, ভাবতেই খারাপ লাগে।’’

বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীবকান্তি রায় বলেন, ‘‘বাসিন্দারদের রাতবিরতে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে অসুবিধা হয় জানি। শীঘ্রই ওই নালা পাকা করার কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে পুরসভার অনুমতি পেয়ে গিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drain Concrete
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE