Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

লোগো নেই নোটিসে, বৈঠক এড়াল কর্মিসভা

ওই বৈঠকে না গেলেও ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে এ দিন কর্মিসভার সাধারণ সভা আয়োজিত হয়েছে। বিকেল চারটে নাগাদ বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে ধর্নাস্থলেই সাধারণ সভা ডাকা হয়।

 আলোচ্য: কর্মিসভার বৈঠক। বিশ্বভারতীতে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

আলোচ্য: কর্মিসভার বৈঠক। বিশ্বভারতীতে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০২
Share: Save:

কর্মীদের একাংশের কর্মবিরতি ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসার আবেদন জানিয়ে নোটিস দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সেই নোটিস প্রথা মেনে দেওয়া হয়নি, অভিযোগ তুলে বৈঠকে গেলেন না কর্মিসভার কোনও সদস্যই।

বকেয়া মেটানো–সহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতিতে বসেছে কর্মিসভা। সমাধানসূত্র খুঁজতে এ দিন বিশ্বভারতী অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি নোটিস দিয়ে বলা হয়, এ দিনই বিকেল ছ’টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে উপাচার্যের কক্ষে। তাতে কর্মিসভার ছ’জন সদস্য এবং বিশ্বভারতীর ছ’জন আধিকারিক থাকবেন। কিন্তু, কর্মিসভার ক্ষোভ, সেই নোটিসে বিশ্বভারতীর লোগো দেওয়া হয়নি এবং বৈঠকে কারা থাকবেন, তারও উল্লেখ করা হয়নি। কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, ‘‘যত দিন না বিশ্বভারতী অফিশিয়াল ভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বা সমাধানসূত্রের কথা বলবে, তত দিন পর্যন্ত কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এর ফলে বিশ্বভারতীতে পুরোপুরি অচলাবস্থা তৈরি হলে তার দায় নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেই।’’

কর্মিসভার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বভারতীর প্রথা মেনেই একটি অফিশিয়াল চিঠি দিয়েছিলাম দু’পক্ষকে মিটিংয়ে বসার জন্য। কারণ, আমরাও চাই আলোচনার মাধ্যমে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটুক। তাই বৈঠকে বসার কথা জানিয়ে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়। ওঁদের জন্য আমরা সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। ওঁরা কেউ না আসায় বৈঠক করা সম্ভব হয়নি।’’

অচলাবস্থা কাটাতে এ দিন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছে বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সদস্য বিকাশচন্দ্র গুপ্ত বলেন, ‘‘কর্মবিরতির ফলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা নানা অসুবিধায় পড়ছেন। বেশ কিছু কাজও থমকে রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব, কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে এই অচলাবস্থা মেটান। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে।’’

ওই বৈঠকে না গেলেও ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে এ দিন কর্মিসভার সাধারণ সভা আয়োজিত হয়েছে। বিকেল চারটে নাগাদ বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে ধর্নাস্থলেই সাধারণ সভা ডাকা হয়। সংগঠনের সব কর্মী ছিলেন। সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মিসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Visva Bharati Meeting Working Committe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE