পাকা: পুরন্দরপুর থেকে তাপাইপুর পর্যন্ত এই তিন কিলোমিটার রাস্তাও এ বার পাকা হবে। নিজস্ব চিত্র
‘গ্রামীণ সড়ক সপ্তাহ’ উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে আরও আঠারো হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তার কাজে হাত পড়ল সোমবার। এ দিন বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙর থেকে তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নতুন রাস্তা নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল বীরভূমেও। সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুর থেকে সেটা করেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী।
জেলাশাসক ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, নিবিল ঈশ্বরারী, মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহ প্রমূখ। প্রশাসনের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধানসভাভিত্তিক— তিন স্তরেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে। জেলায় এ দিন প্রায় হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তার কাজের সূচনা হল এ দিন। এ ছাড়া শিলান্যাস, কাজে হাত দেওয়া এবং উদ্বোধন ধরলে গোটা জেলায় রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০০ কিমির মতো। এমনই দাবি প্রশাসনের। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সড়ক নির্মাণের গতি এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলেই দাবি প্রশাসনিক কর্তাদের। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী আশাবাদী, ‘‘২০১৮ সালের পর কোনও গ্রামেই আর কাঁচা রাস্তা থাকবে না।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সাত দিনে জেলার ১১টি বিধানসভা এবং সব ক’টি পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতেই নতুন রাস্তা গড়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট চারটি প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে রাস্তাগুলি। এক, আইএসজিপি বা গ্রাম পঞ্চায়েত স্বঃশক্তিকরণ, দুই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা বা বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনা, তিন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএ) এবং ‘গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’ (আরআইডিএফ)।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) নিবিল ঈশ্বরারী বলছেন, ‘‘সবকটি প্রকল্পে রাস্তার কাজে হাত দেওয়া, শিলান্যাস ও উদ্বোধন মিলিত ভাবে ধরলে জেলার মোট ৮৯৪টি রাস্তা রয়েছে। ২৩৯২.৮ কিমি রাস্তা তৈরির ব্যয় মোট ৪২৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৩২ হাজার টাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy